শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজার সদরের ৭নং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সিরাজুল হকের নেতৃত্ব ১৮ হাজার পিস ইয়াবা লুট করার খবর পাওয়া গেছে।
৮আগষ্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ইউনিয়নের ঘোনা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত মমতাজ আহমদের পুত্র ৩টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী সরওয়ারের পুর্বের পরিচিত
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থানরত ছাবের আহমদ নামের এক যুবককে ক্রয় করার কথা বলে ইয়াবা নিয়ে ভারুয়াখালীতে আসতে বলে।সে সরল বিশ্বাসে ১৮ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে ভারুয়াখালী ঘোনা পাড়া এলাকায় পৌঁছলে পুর্বে থেকে উৎপেতে থাকা একই এলাকার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র বর্তমান মেম্বার সিরাজুল হক ও মৃত মমতাজ আহমদের পুত্র সরওয়ারের নেতৃত্বে আরো ৩/৪ জন লোক তাকে ধরে নিয়ে নির্জন পাহাড়ে তুলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ইয়াবাগুলো লুট করে ছাবের আহমদকে তাড়িয়ে দেয়।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক জানায়,ইয়াবা লুটের ঘটনাটি কোন আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানালে এলাকায় কেউ থাকতে পারবে না বলে হুংকার দেয় মেম্বার সিরাজুল হক ও সরওয়ার।বর্তমানে ইয়াবা গুলো মেম্বারের কাছে থাকতে পারে বলে জানায় এ যুবক।মেম্বারের কাছে অসহায় অত্র ওয়ার্ডে ১০/১২ হাজার জনগন।নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অপকর্ম থেকে শুরু করে এলাকায় গড়ে তুলে একটি শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায়ও সরবরাহ করে থাকে।এ অপকর্মের কারনে পরিষদের সকলের কাছে বিষপোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরাজ মেম্বার। স্থানীয়দের দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে মেম্বার সিরাজ ও সরওয়ারকে গ্রেফতার করতে না পারলে ইয়াবা এবং অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হবে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, আমি এখনি পুলিশ ফোর্স পাঠাচ্ছি।ইয়াবা লুটের ঘটনায় জড়িতসহ সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
লুটের বিষয়ে জানতে মেম্বার সিরাজুল হককে কয়েকবার কল দেওয়া হয়।সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: