ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

মায়ের জন্য প্রতিবন্ধী মেয়েটি……..

gggg ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের অজ, পাড়া গা গোয়ালিয়া। গ্রামে একটি পরিবার ছিল। পরিবারে মা-বাবা, ভাইবোনের সাজানো গোছানো সংসার ছিল। সংসারে ছিল একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে। নাম ছিল তার দিলারা। মেয়েটি জন্মের কয়েকবছর পর পরিবারে এলো একটি চরম ধাক্কা। মারা গেল মেয়েটির বাবা। মুহুর্তেই পরিবারটি তছনছ হয়ে গেল। ৩ ভাই,৩ বোন মা সহ ৭ জনের সংসার। ১৩ বছরের দিলারা সবার ছোট। ভাইয়েরা বিয়ে করে চট্টগ্রামমে স্থায়ী হয়েছে। বোনদেরও বিয়ে হয়েছে। যে যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। কিন্ত দিলারা মাকে ছেড়ে যেতে পারেনি। মা, নুর জাহানও ছেড়ে যায়নি নাড়িছেঁড়া প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে। বর্তমানে ভিক্ষা করেই চলছে মা-মেয়ের পরিবার। উপজেলার সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে প্রতিবন্ধী মেয়েটির দেখা মেলে। দিনে ২০০ টাকার মত পাওয়া যায় ভিক্ষা করে। তা নিয়েই দুঃখ, কষ্টে চলছে মা-মেয়ের সংসার। এমনটিই জানা গেল দিলারার কাছ থেকে। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী মেয়েটি সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা পায়নি। তার উপর পড়েনি কোন নেতার সুদৃষ্টি। প্রতিবন্ধী দিলারার মা জানান, তাদের একটি সাজানো সংসার ছিল, অভাব থাকলেও কোনরকমে ভালই দিন কাটছিল। কিন্তু ৮ বছর পুর্বে দিলারার বাপ মোঃ ইসলাম মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের দুঃখের দিন শুরু। ছেলেমেয়েরা যে যার মত করে আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও দিলারা আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে নিয়ে কোনরকমে বেচে আছি। জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধি হওয়ায় তাকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ভিক্ষা করে ২/১ শত টাকা যা পাই তা দিয়েই মা মেয়ের দিন চলে। প্রতিবন্ধি ভাতা বা কোন রাজনৈতিক নেতার সহায়তা এখনো পায়নি। শুধু মাত্র ভোট এলে নেতাদের দেখা যায়। তারপর আর কোন খবর থাকেনা। এভাবেই একনাগাড়ে কথাগুলো বলে গেলেন কিশোরীর মা। তিনি বলেন, মেয়েটিকে নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটঁছে তার, সে মারা গেলে কি হবে তার প্রতিবন্ধি মেয়ের। শেষে প্রতিবেদককেই প্রশ্ন রেখে বললেন, পেপারত লেখিলে কি টিয়া দিব ?।

#################

রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোক্তার আহমদকে বহিস্কার

উখিয়া প্রতিনিধি :::

সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোক্তার আহমদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্র“য়ারী রাজাপালং ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক নুর মোহাম্মদ শেখর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যকরী কমিটির সভায় সবার সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন শর্মা রনির কাছে এক অনস্থা প্রস্তাব পাঠানো হয়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে দলের বৃহৎ স্বার্থ রক্ষা করতে বহিস্কারাদেশ জারী করা হয়। ভবিষ্যতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের নাম ব্যবহার করলে দলীয় কোন নেতাকর্মীরা এ দ্বায়ভার নেবেন না। রাজাপালং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক নুর মোহাম্মদ শেখর ও যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদীন জয় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 ################

 বাংলাদেশ-মিয়ানমার এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক’কে চার লেনের কাজ চলছে এগিয়ে

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

বহুল প্রতিক্ষিত স্বপ্ন পুরনের সড়কের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। জন্য ভূমি অধিগ্রহন ও যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ার ঘাট থেকে ঘুমধুম লাল ব্রিজ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ফোর লেনের সড়কটি বাস্তবায়ন করছে ১৬ ইসিবি। এ সড়কটি বাস্তবায়ন হলে পূর্বমূখী মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কুরিয়ার ও চীনের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ সহ অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে উঠবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক বাস্তবায়ন ও ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনে মহা পরিকল্পনা গ্রহনে পৃথক ২টি প্রকল্প হাতে নেয়।

দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক ও আন্তঃ এশিয়া আঞ্চলিক সড়ক বাস্তবায়নে থাইল্যান্ড, চীন, কুরিয়ার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রি-পাক্ষিয় সমঝোতা স্মারক সই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। স্মারক, সইচুক্তি কালে স্ব স্ব দেশের যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সহ পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার সড়ক বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কটি ফোর লেনে উন্নীত করণের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহন ও যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং-কোর (১৬ ইসিবি) ২০১৫সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। যার স্মারক নং-৬০৯/প্রজেক্ট। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা এমএম মাহামুদুর রহমান, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান, কানুনগো দিদারুল আলম ও ইসিবির ল্যান্ড বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যৌথ জরীপ চালিয়ে গত ২০ জানুয়ারী সম্ভব্যতা যাচাই ও ভূমি অধিগ্রহনের তদন্ত শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ ফরিদ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর থেকে সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াৎ মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পয়েন্ট হতে উখিয়ার ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৯ একর ভূমি অধিগ্রহন ও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করে তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি ক্ষতিগ্রস্থ উপযুক্ত কাগজপত্র দাখিল করলে ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। এবং তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দ্রুত গতিতে সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে উক্ত দুই কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

পাঠকের মতামত: