ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

মাতারবাড়ীতে বেড়িবাঁধ ভাঙা ৫০০ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে না

imagesমহেশখালী প্রতিনিধি ::::

ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার না হওয়ায় কক্সবাজার মহেশখালীতে চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০০ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে না। গত ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কবলে পড়ে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের রাঙাখালি এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙাখালির ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা। ওই বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে ফুলজান মোরা, রাজপাড়া, মডেল, দক্ষিণ রাজঘাট ও সাইবার মেইল এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ফলে এসব এলাকার জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে না।

 দক্ষিণ রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা লবণচাষি মোহাম্মদ নুরুল আলম ও কফিল উদ্দিন বলেন, ‘লবণ চাষ করার জন্য কয়েকবার মাঠ তৈরি করেছিলাম। কিন্তু জোয়ারের পানির কারণে সম্ভব হচ্ছে না।’

আরেক লবণচাষি জিল্লুল কাদের বলেন, এবার লবণ চাষ করার জন্য ৫০ হাজার টাকায় এক একর জমি বর্গা নিয়েছিলাম। কিন্তু চাষ না হওয়ায় সেই টাকাও এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে লবণ চাষ করতে না পেরে এই এলাকার পাঁচ শ চাষি বেকার হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, লোকালয়ে জোয়ার–ভাটা চলার কারণে মাতারবাড়ীতে চলতি মৌসুমে লবণ চাষ ব্যাহত হচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে রাঙাখালির ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার করে দেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সবিবুর রহমান বলেন, রাঙাখালির ভাঙা বেড়িবাঁধটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় পড়েছে। এখন ওই ভাঙা বাঁধ নির্মাণ করার দায়িত্ব যাত্রাবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের। এ ব্যাপারে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ আলম বলেন, ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।

 

পাঠকের মতামত: