এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর দুইতীরের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত ২৫টি বসতঘর ও আবাদি জমি। বর্তমানে চরম হুমকিতে রয়েছে নদীর তীর এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার।
চকরিয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে জরুরী প্রকল্পের আওতায় মাতামুহুরী নদীর তীরে অধিক ঝুঁিকপুর্ণ কয়েকটি স্থানে গাছের স্পার ও বালুর বস্তা (জিও) ব্যাগ ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ জনপদ রক্ষায় চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরির্দশনে এসেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের সিনিয়র জয়েন্ট চীপ (যুগ্ম সচিব) ছিদ্দিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী বান্দরবান সফিকুল ইসলাম শেখ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মকছুদুল হক মধু, নারী কাউন্সিলর রাশেদা বেগম ও পাউবো’র পেকুয়া-কুতুবদিয়া শাখা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন।
পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা (এসও) গিয়াস উদ্দিন বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে কয়েকদফা বন্যার তান্ডবে মাতামুহুরী নদীর একাধিক পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে গতকাল সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের সিনিয়র জয়েন্ট চীপ ছিদ্দিকুর রহমানসহ পাউবোর সিনিয়র কর্মকর্তারা নদীর দুই তীরের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রানালয়ের যুগ্ম সচিব চকরিয়া উপজেলার কাকারা, পৌরসভার কোচপাড়া অংশের শহররক্ষা বাঁধ, পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের আবদুলবারী পাড়া ও কাজিরপাড়া এবং পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের টেকপাড়া অংশের ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরির্দশন করেছেন।
চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে কয়েকদফা বন্যার তান্ডবে মাতামুহুরীর ভাঙ্গনে পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের অন্তত ২৫টি বসতঘর ও আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো নদীর তীর এলাকার দুই শতাধিক পরিবার ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বলেন, মাতামুহুরী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের কবল থেকে চকরিয়া পৌরশহর রক্ষাবাধ ও জনগনের বসতি রক্ষা করতে হলে দ্রুতসময়ে নদীর তীর এলাকায় টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নজরদারি কামনা করেছেন মেয়র।
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী বান্দরবান সফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনের দৃশ্য পরিদর্শনকালে মন্ত্রানালয়ের জয়েন্ট চীপ স্বচক্ষে দেখেছেন। তিনি ঢাকায় ফিরে এব্যাপারে মন্ত্রানালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর নদীর ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ নিশ্চিত হলেও পাউবো’র পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় নদী শাসন প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করা হবে। #
পাঠকের মতামত: