ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ভারুয়াখালীতে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার আটক ৩

arrested-varuakhaliমোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মুনতাহিনা ফেরদৌস আছমাকে (১৩) ৩৭ দিন পর অপরহরণকারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনায় জড়িত ৩ ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ননা মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত তৈয়ম গোলালের পুত্র জাফর আলম (৫০), জাফর আলমের ছেলে এমরান (২২) এবং একই ঠিকানাধীন মোক্তার আহমদের পুত্র আবদুল মালেক (৪০)। কক্সবাজার সদর মডেল থানার নবাগত অফিসার্স ইনচাজ রনজিত কুমার বড়–য়ার নেতৃত্বে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ১১ জুন শনিবার রাত ১ টা’র দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়নের সাবেক পাড়ার জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত আছমাকে উদ্ধার করে এবং উল্লেখিতদের আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রী আছমাকে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। মামলার আর্জি সুত্রে প্রকাশ, গত ৭ মে সকাল সাড়ে ৭টা’র দিকে বাড়ী থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ননামিয়াপাড়ার মালেয়শিয়া প্রবাসী অলি আহমদের কন্যা এবং ভারুয়াখালী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতাহিনা ফেরদৌস আছমাকে আটককৃতরা জোরপূর্বক সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। আছমার মা কুলছুমা বেগম জানান, আটক জাফর আলমের পুত্র এমরান আছমাকে প্রায়শঃ মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করত এবং প্রেম নিবেদন করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করায় এবং তার মেয়ে আছমা এমরানের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আটককৃতরা যোগসাজশ করে তার কন্যাকে অপহরণ করে। কক্সবাজার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: