চট্টগ্রাম থেকে বদলি হওয়ার পর বাবুল আক্তার পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করেন ৪ জুন। ৫ জুন চট্টগ্রামে স্ত্রী খুন হলে তারপর থেকে তিনি আর অফিস করেননি। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয়কৃষ্ণ বালা বলেন, বাবুল চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে যোগদান (রিপোর্ট) করার পরদিনই চট্টগ্রামে তার স্ত্রী খুন হন। সংগত কারণেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। মানবিক বিবেচনায় তার অনুপস্থিতির বিষয়ে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, হয়তো তিনি যেদিন অফিসে আসবেন তখন তাকে একটি আবেদন করে তার সমস্যাটা অফিসিয়ালি জানাতে হবে। এছাড়া এর মধ্যে আইজিপি সাহেব অন্য কোথাও পোস্টিং দিলে বা পুলিশ সদর দফতরেই কোনো দায়িত্ব দিলে তাকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন ডিআইজি এ ব্যাপারে বলেন, সাধারণত কোনো পদস্থ কর্মকর্তা মিশন থেকে ফিরে বা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বদলি হয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করেন। তার অন্যত্র পোস্টিং না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আইজিপি কর্তৃক তাকে পুলিশ সদর দফতরের সুনির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত সময়কালটাকে বলা হয় পুলিশ সদর দফতরে ‘এ্যাটাচ’। এটা ওএসডি নয়; কিন্তু আবার কোনো দায়িত্বও নেই। এ সময়কালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রিল্যাক্স মুডে থাকেন। তখন ওই কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস না করলেও এটাকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হয় না। ফলে এ ধরনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পোস্টিং না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পুলিশ সদর দফতরে যাতায়াত করেন। কিন্তু প্রতিদিন না আসলেও চলে।
পাঠকের মতামত: