ঢাকা,বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাইশারীর আলীক্ষ্যং খালে ভাসমান মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

a525a79f-d9fe-4421-9775-5ee9a85e826eমুফিজুর রহমান, বাইশারী :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীর আলীক্ষ্যং খাল থেকে রবিবার ১১ টায় মা রেহেনা বেগম (২৫) ও তের মাসের মেয়ে নাজনিন আক্তারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মা-মেয়ের বাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আলীক্ষ্যং এলাকায়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, আনুমানিক সকাল ৭ টার সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ীর মজিুবুর রহমানের স্ত্রী আলমতাজ বেগম কাপড় ধৌত করতে বাড়ীর একশত গজ দূরত্বে আলীক্ষ্যং খালে যায়। এ সময় মা-মেয়ের লাশ দুইটি খালে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীসহ পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে বেলা ১০ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খাইর ও বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। রেহেনার বাড়ী থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে রেহেনা বেগমের দেবর একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ মহারাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রেহেনা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ নাছির জানায়, শনিবার সে পাহাড়ে ফুলঝাড়– সংগ্রহ গিয়ে রাত্রে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখে স্ত্রী-সন্তানের লাশ। তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকত দেবর মহারাজ এবং বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতো। আমি না থাকার সুযোগে হয়ত সে আমার স্ত্রী-সন্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খালে ফেলে রেখেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ঘটনার ২/৩ দিন পূর্বে দেবর মহারাজের সাথে রেহেনা বেগমের বাড়ীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, মা-মেয়ের এক সাথে মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, মা রেহেনা বেগমের শরীরে কোন ধরণের আঘাত না পেলেও মেয়ে নাজনিন আক্তারের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: