ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশি চার সাঁতারু

sataru 1জসিম মাহমুদ, টেকনাফ :::

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশি চারজন সাঁতারু। তাঁরা হলেন-লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা, মনিরুজ্জামান ও শামছুজ্জামান আরাফাত। (আজ) গতকাল মঙ্গলবার সকাল নয়টা ৪০ মিনিটে চারজন সাঁতারু টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদীর জেটি থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু করেন।

১৬ দশমিক ১ কিলোমিটারের বাংলা চ্যানেল ৬ষ্ঠ বারের মতো ৪ ঘণ্টায় পাড়ি দিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক মনিরুজ্জামান সেন্ট মার্টিনের জেটিঘাটে পৌঁছান। ১২ বছরে পরপর ১২তম চ্যানেল পাড়ি দেওয়া লিপটন সরকারের সময় লাগে ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিটে, ৫ম বারের মতো পাড়ি দেওয়া ফজলুল কবির সিনার সময় লাগে ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিটে ও তৃতীয় বারের মতো পাড়ি দেওয়া শামছুজ্জামান আরাফাতের সময় লাগে ৪ ঘন্টা ১৩ মিনিটে। সাঁতারের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন লিপটন সরকার। নেভিগেশন ও রেসকিউ টীম লিডারের দায়িত্ব পালন করেন সাজ্জাদ খান রনি।

বাংলা চ্যানেল আবিষ্কারক কীর্তিমান ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার মরহুম কাজী হামিদুল হক (১৯৪৯-২০১৩)। ২০০৬ সালের ১৪ই জানুয়ারি ঢাকা বেজ ক্যা¤েপর তিনজন দূরসাহসিক (অ্যাডভেঞ্চার) ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার ও সালমান সাঈদ প্রথমবার এই চ্যানেল অতিক্রম করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর বাংলা চ্যানেল সাঁতার আয়োজন করা হচ্ছে। হামিদুল হকের স্মরণে ১২তম বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০১৭-এর যৌথ আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল ওয়াল্টন।

লিপটন সরকার বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দূরসাহসিক (অ্যাডভেঞ্চার)। বাংলা চ্যানেল সাতাঁরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিচিতি বহি:বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া এবং বাংলাদেশে যুব সমাজকে দূরসাহসিক (অ্যাডভেঞ্চার) মূখী করতেই বাংলা চ্যানেলের আবিষ্কারক কাজী হামিদুল হক মারা যাওয়াই প্রতি বছর তার স্মরণে এটির আয়োজন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলা চ্যানেলে সাঁতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীর সামনে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনকে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি। কক্সবাজার সৈকতেই বাংলা চ্যানেলের অবস্থান। ভবিষ্যতে এই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ছুঁটে আসবেন অসংখ্য বিদেশি।’

পাঠকের মতামত: