ঢাকা,শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে আইএস’র কোনো অস্তিত্ব নেই: প্রধানমন্ত্রী

image_149102_0নিউজ  ডেস্ক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ‘আইএস’র কোন অস্তিত্ব নেই। তিনি বলেন, কতিপয় সংগঠন ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকলেও এদেশে ‘আইএস’র কোন অস্তিত্ব নেই।

প্রধানমন্ত্রী আজ তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্সের নীতিতে বিশ্বাস করে। যেকোনো জঙ্গিবাদকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলায় আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গিবাদ মোকাবেলাসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্যসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল উদ্ধারকল্পে পুলিশের নিয়মিত অভিযান ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহের আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, রেলপথ ও রেলযাত্রী সাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে রেলওয়ে পুলিশ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌ-পথের নিরাপত্তা অধিকতর জোরদার করার লক্ষ্যে নৌ-পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প এলাকায় সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ শিল্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পর্যটন এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষার লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ প্রয়োজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা জোরদার ও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 শেখ হাসিনা বলেন, সকল প্রকার নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সারাদেশে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য যাচাইপূর্বক এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাশকতার মামলায় যারা জামিন পেয়েছে তারা যাতে পুনরায় অনুরূপ অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য তাদেরকে নিবিড় নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশী নাগরিকদের বসবাসের এলাকা ও চলাচলের রাস্তাসমূহে গোয়েন্দা কার্যক্রম অধিকতর জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিপ্লোমেটিক এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ চলমান টহল আরো নিবিড় ও চেকপোস্ট ডিউটি জোরদার করা হয়েছে।- বাসস

পাঠকের মতামত: