ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বদরখালী সমিতির নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতে দুটি রিট, পৃথক আদেশ

bc6a93ce-a8e2-41cc-adfe-acb803fc066f-768x446ছোটন কান্তি নাথ :
চকরিয়ার বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির আজকের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের পৃথক দুটি বেঞ্চ পরষ্পরবিরোধী আদেশ দেওয়ায় আদৌ নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছে পুরো বদরখালীতে। ইতিমধ্যে একটি পক্ষে করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি বেঞ্চ আদেশ দেন আগামী তিনমাসের জন্য এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। অন্যপক্ষ রিট করলে আরেকটি বেঞ্চ আদেশ দেন সময়সূচী অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করতে। এতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী থেকে শুরু করে ভোটারসহ বদরখালীর জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এশিয়ার বৃহত্তম সমবায়ী প্রতিষ্ঠান ‘বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি’র ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির দাবিতে বদরখালী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মাঝেরপাড়ার মৃত আমিন শরীফের ছেলে জহিরুল ইসলাম উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করলে বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম শহীদুল হকের দ্বৈত বেঞ্চ আগামী তিন মাসের জন্য ওই নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবর এলাকায় জানাজানি হলে অনেক প্রার্থীর মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এক মাস ধরে চলে আসা নির্বাচনী উত্তাপ অনেকটাই ভাটা পড়ে যায় ওই স্থগিতাদেশের ফলে।
অপরদিকে সমিতির বর্তমান সভাপতি হাজি নুরুল আলম সিকদার বাদী হয়ে উক্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করলে সময়সূচী অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমদের দ্বৈত বেঞ্চ। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. কামাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এই আদেশ সংক্রান্ত সার্টিফাইড কপি গতকাল শনিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। পৃথক ওই আদেশের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহেও রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি (রিটার্ণিং কর্মকর্তা) মো. সাহেদুল ইসলামের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানার জন্য অসংখ্যবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়নি।
তবে আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি উচ্চ আদালতের পৃথক কোন বেঞ্চ পরষ্পর বিরোধী আদেশ দেন, তাহলে নিয়মানুযায়ী তা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে ন্যস্ত হবে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য। যতক্ষণ পর্যন্ত চুড়ান্ত নিষ্পত্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আইনি জটিলতার গ্যাড়াকলেই আবদ্ধ থাকবে বহুল প্রতিক্ষিত সমিতির নির্বাচন।

পাঠকের মতামত: