ঘটন-অঘটন নিয়েই পৃথিবী। ঘটন-অঘটন আছে বলেই পৃথিবী এত বৈচিত্রময়। ভালো-মন্দা আর আনন্দ-বেদনার নানা ঘটনা নিয়েই এগিয়ে যায় পৃথিবী। এই ধারা অনন্তকাল বয়ে যাবে। পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মইে ভালো-মন্দ আর আনন্দ-বেদনার ঘটনা এক সাথে ঘটে যায়। কিন্তু মানুষের চাওয়ায় রয়েছে ভিন্নতা। মানুষ চায় শুধুই আনন্দ। বেদনা কখনো চায় না। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে চাওয়ার সাথে পাওয়ার প্রত্যশা পূরণ হয় না কখনো। তাইতো অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যায় নানা অঘটন! যুগে যুগে মানুষের চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে এই নিয়মেই পৃথিবী চলছে । তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে, আনন্দময় ঘটনার চেয়ে বেদনার ঘটনাই বেশি নাড়া নেয়। তাইতো পেছনে ফেলে আসা আনন্দের ঘটনা চেয়ে বেদনার ঘটনাই বড় হয়ে দেখা দেয় সব সময়। ২০১৬ সালেও বিশ্বজুড়ে এমন অনেক অঘটন ঘটে গেছে। তেমনিভাবে বাংলাদেশেও ঘটেছে নানা অঘটন। এর মধ্যে বছরজুড়ে কক্সবাজারে ঘটেছে বেশ কিছু আলোচিত ঘটনা। কক্সবাজারে বছরের আলোচিত ঘটনার গুলোর মধ্যে কয়েকটি আলোড়ন তুলেছে বেশ। তার মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু, এমপি আবদুর রহমান বদির গ্রেপ্ততার, সড়ক দুর্ঘটনা, ৭৪ জেলে নিখোঁজ খুব বেশি আলোড়ন তুলেছে। বছরের শেষে এই ঘটনা গুলোর কথা মনে করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।
তৃতীয় পর্ব: ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ এমপি বদি
বরাবরের মতোই বছরজুড়ে আলোচনায় ছিলেন বাংলাদেশের আলোচিত ও বির্তকিত রাজনীতিবিদ উখিয়া-টেকনাফ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা সম্পদের তথ্য গোপনের মামলাটি বছরের শুরু থেকে আলোচনায় ছিলো। তবে বছরের শেষ প্রান্তে এসে একেবারে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হন তিনি।
বছরের ২ নভেম্বর দুদকের দায়ের করা সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় এমপি বদিকে ৩ বছরের সাজা দেন আদালত। একই সাথে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এমপি বদি কারাগারে গেলে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। এই নিয়ে অধিকাংশ মানুষ সরকারকে সাধুবাদ জানান। তবে ব্যতিক্রম ছিলো উখিয়া-টেকনাফের মানুষ। এমপি বদির সাজা ঘোষণার সাথে সাথে রাস্তায় নেমে পড়ে উখিয়া-টেকনাফের বিপুল মানুষ। তারা সড়ক অবরোধ করে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর বদির ১৯ দিন জেলে থাকা পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফে তার মুক্তির দাবিতে সভা-সমাবেশ ও হরতাল করে তার সমর্থকেরা। পরে ১৯ দিন পর আপিল বিভাগ বদিকে জামিন দেন।
অন্যদিকে এমপি বদির মুক্তি আন্দোলন করে অনেকে চাপের মুখে পড়েন। সরকার ও আদালতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা তোপের মুখে পড়েন। এই ভয়ে বদির সমর্থক অনেক পদধারী নেতা বদিমুক্তি আন্দোলন থেকে বিরত থাকেন।
পাঠকের মতামত: