ঢাকা,বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি: এরশাদ

িএরশাদবিশেষ প্রতিনিধি ::

নীলফামারী: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অনেক উন্নয়ন করছেন। কিন্তু জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। দেশের মানুষের শান্তি নেই। তাঁরা আজ নানা অশান্তিতে ভুগছেন। দেশে প্রতিদিন মানুষ খুন হচ্ছে। দায়-দায়িত্ব কারো নেই। মা তাঁর পেটের সন্তানকে হত্যা করছে। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই। জাতীয় পার্টিই হবে একমাত্র মুক্তির পথ।”

রোববার নীলফামারী জেলার জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এরশাদ এসব কথা বলেন।

এরশাদ বলেন, “এ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ৩৭টি কাউন্সিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন-চারটি ছাড়া বাকি সব কয়টিতেই আমি উপস্থিত ছিলাম। আমি নীলফামারীর কাউন্সিলেও এসেছি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রধানরা এ রকম কোনো কাউন্সিলে আসেন না। কিন্তু এ বয়সে আমি এসেছি। কারণ আমি ছাড়া জমে না।”

তিনি বলেন, “দেশে নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। পুব আকাশে সূর্য উঠেছে, এ সূর্য জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সামনের দিকে। কাজেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “জাতীয় পার্টির জন্য আমিই সবচেয়ে বেশি নির্যাতন সহ্য করেছি। ৯০-এ ক্ষমতা ছেড়ে দিলাম। এরপরই আমার ওপর নির্যাতন নেমে এলো। প্রথমবার ছয় বছর দুই মাস জেলে থাকলাম। এরপর থাকলাম ছয় মাস। পাঁচ কোটি টাকা জরিমানাও দিলাম। কেন এসব সহ্য করেছি?  কারণ জাতীয় পার্টি আমিই বাঁচিয়ে রেখেছি। এ পার্টি আমিই সৃষ্টি করেছি, জাতীয় পার্টি আমার সন্তান।”

“৯১-এ জেলে ছিলাম। চার বছর নির্জন কারাগারে থাকলাম। কথা বলার কেউই নেই। অথচ আমি রাষ্ট্রপতি ছিলাম। এ নির্জনতা কী যে কষ্টের। ৯১-এর নির্বাচনে ৩৫টি আসন পেলাম। এরপর আমি মুক্তি পেলাম। দুঃসহ জীবনের অবসান হলো। ৯৬-এর নির্বাচনে আমি ৩৩টি আসন পেলাম। এরপর মধ্যরাতে বিএনপি এলো। সমর্থন চাইল। এরপর আমার বিরুদ্ধে ৪৬টি মামলা হলো। এখনো দুটি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তারা সব মামলার নিষ্পত্তি করলে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি।” বলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

নীলফামারীর সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: