ঢাকা,মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ৬৩ ভোট কেন্দ্রে ১০৭১ জন আনসার নিয়োগে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

durnitiপেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় কাল ৩১ মার্চ অনুষ্টিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৬৩ টি ভোট কেন্দ্রে আইন শৃঙ্খলায় রক্ষায় দায়িত্ব পালনের জন্য ১০৭১জন আনসার সদস্য নিয়োগে বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৬৩টি কেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ১৭ জন আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ৬হাজার টাকারও বেশি ঘুষ নিয়ে আনসার নিয়োগ দিলেন খোদ পেকুয়া উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলম। কয়েকজন আনসার সদস্য জানান, পেকুয়া উপজেলা আনসার কর্মকর্তা ফরিদুল আলম প্রতিটি কেন্দ্রের ১৭ জন সদস্যদের কাছ ৬ হাজার টাকাও বেশি ঘুষ নিয়েছেন। সেই হিসেবে পেকুয়া উপজেলার ৬৩ কেন্দ্রের ১০৭১ জন আনসার সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৪লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। যা আনসার ভিডিপির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করলে ঘুষ বানিজ্যের প্রমান পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আনসার সদস্যরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাল ৩১ মার্চ পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পেকুয়া উপজেলার ৬৩টি ভোট কেন্দ্রে আনসার সদস্য নিয়োগের নির্দেশ দেন পেকুয়া উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তাকে। আনসার নিয়োগের নির্দেশ পেয়েই পেকুয়া উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা ফরিদুল আলম কেন্দ্রভিত্তিক ১৭ জন করে আনসার সদস্য নিয়োগ দেন। নিয়োগ দেওয়ার সময় গড় কেন্দ্র হিসাব করে ঘুষ নিয়েছেন।

পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের আনসার ভিডিপির টিম লিডার কেফায়াত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন, পেকুয়ার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন উপজেলা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম। তিনি এ নিয়ে দূর্নীতিবাজ আনসার কর্মকর্তা ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন আনসার কর্মকর্তাদের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

মগনামা ইউনিয়নের আনসার ভিডিপির টিম লিডার হাফেজ মনছুর অভিযোগ করেছেন, মগনামার ৯টি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন উপজেলা আনসার কর্মকর্তা।

অভিযোগের ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মো. ফরিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভোট কেন্দ্রে আনসার নিয়োগের নামে কোন ধরনের ঘুষ নেওয়া হয়নি।

কক্সবাজার জেলা আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিমের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি, পেকুয়া উপজেলায় আনসার নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২২মার্চ কুতুবদিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন করে আনসার নিয়োগকালীন প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন অভিযোগ রয়েছে।

পাঠকের মতামত: