ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সিএনজি শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬

পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকদের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের ৪ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পেকুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা এলাকার বদিউল আলমের ছেলে আবদুল কুদ্দুস মনু (৪০), পুর্ব গোঁয়াখালী এলাকার গিয়াস উদ্দিন এর ছেলে নয়ন (২৩), আন্নর আলী মাতবর পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে নেজাম উদ্দিন (৪৫), একই এলাকার শওকত হোসেন (২২)।
হামলায় আহতেরা হলেন, মিয়াপাড়া এলাকার নুরুল হোসেন এর ছেলে মোজাম্মেল (৩০) ও পুর্ব গোঁয়াখালী এলাকার আনছার উদ্দিনের ছেলে আতিক আহমদ (২৪)। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন নিয়ে পেকুয়ায় দুটি গ্রুপের মধ্যে সম্প্রতি দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারন করে। আধিপত্য বিস্তার ও টিকেট কাউন্টার দখল বেদখল নিয়ে মুলত তাদের এ বিরোধ। একটি পক্ষের নেতৃত্বে দিয়ে আসছিল নাছির উদ্দিনসহ একটি পক্ষ। তাঁরা দীর্ঘ এক যুগ ধরে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

সম্প্রতি মো.রফিক ও রফিকুল ইসলাম সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব জানান দেয়। দুই রফিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা গত কিছুদিন আগে উপজেলার ৯টি টিকেট কাউন্টার দখল নেয়। এতে সিএনজি শ্রমিকরা তাদের নেতৃত্বকে স্বাগত জানায়। এদিকে আধিপত্য ও কাউন্টার দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

সিএনজি সংগঠনের পেকুয়ার সভাপতি মো.রফিক বলেন, শ্রমিক পরিচয় দিয়ে একযুগ ধরে একটি সিন্ডিকেট চাঁদাবাজিতে মেতে ছিল। তাঁরা শ্রমিকের রক্তচুষে খেয়েছে। কিছুদিন আগে প্রকৃত শ্রমিকরা তাদের বিতাড়িত করে। আজ সকালে ১০-১৫ জনের অস্ত্রধারী পেকুয়া বাজারে এসে লাইনম্যানদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে দুটি কাউন্টারে টোকেন দেওয়া শুরু করে। জুমার নামাজের পরে ফের বাজারে এসে তারা ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় শ্রমিকদের একটি অংশ বাঁধা দিলে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

এদিকে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, গুলি বর্ষণের ঘটনায় প্রায় ১ ঘন্টা দোকানপাট বন্ধ ছিল। মানুষের মধ্যে আতংক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শান্তি শৃংখলা বিঘ্ন না ঘটাতে কঠোরভাবে বলা হয়েছে। তবে গুলি বর্ষণের তথ্য সঠিক নয় বলে জানান ওসি।

পাঠকের মতামত: