নিজস্ব প্রতিবেদক :
পেকুয়ায় লবনবাহি গাড়ি থেকে থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে পেকুয়া থানার কনষ্টেবল শফিকুর রহমান। পুলিশের কথা বলে ওই কনষ্টেবল পেকুয়ায় চাঁদার মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। এরই মধ্যে সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনীতে চাঁদা আদায়ের মোকাম সৃষ্টি করেছেন। প্রতিদিন পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়ন থেকে সড়ক পথে পরিবহনকৃত লবন গাড়ি থেকে আদায় করছেন চাঁদা। চৌমুহনীতে চাঁদা আদায়ের জন্য কনষ্টেবল শফিক দু’জন লোক নিয়োগ দিয়েছেন। তারা ক্যাশিয়ার ও থানা পুলিশের কথা বলে প্রতি গাড়ি থেকে ২-৩শত টাকা আদায় করছেন। কনষ্টেবল শফিক পুলিশের কনষ্টেবল হলেও তিনি নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন থানার ক্যাশিয়ার হিসেবে। অথচ পুলিশের চাকুরির মধ্যে ক্যাশিয়ার পদে কোন ধরনের নিয়োগ বাংলাদেশে নেই। কিন্তু পেকুয়ায় সর্বত্রে চলছে পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়ে মাসোহারা আদায়। প্রতিদিন পেকুয়ার তিন প্রান্ত থেকে শতশত লবনবাহি গাড়ি সড়ক পথে বিক্রির জন্য স্থানীয় লবনচাষি ও ব্যবসায়ীরা দেশের প্রত্যন্ত স্থানে নিয়ে যান। ওই সবের কাছ থেকে পুলিশ চাঁদা আদায় করছে। প্রতিদিন কনষ্টেবল শফিক লবন ছাড়াও আরো অন্যান্য একাধিক সোর্স থেকে পুলিশের নামে চাঁদা নেন। এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন কনষ্টেবল শফিক থানার মেচ চালানোর দায়িত্বের কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নেন। তিনি গত তিন মাস ধরে ক্যাশিয়ার পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিতে জড়িত রয়েছেন। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে তিনি পেকুয়ার সর্বত্র থেকে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আদায় করছেন লাখ লাখ টাকা। স্থানীয় লবন চাষিরা জানিয়েছেন পুলিশ যে টাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এসব উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা লবন ক্রয়ের সময় কর্তন করেন। পুলিশকে সরকার বেতন দেয়। অথচ মেচ চালানোর কথা বলে একপ্রকার জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। যারা টাকা দিতে অসম্মতি জানায় তাদেরকে বিভিন্ন হয়রানি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আমরা নিরুপায় হলেও এক প্রকার মামলা-মোকাদ্দমা ও হয়রানির ভয়ে ক্যাশিয়ারকে তার কথামত টাকা দিয়ে থাকি। লবনের গাড়ি সড়ক পথে যাওয়ার সময় পেকুয়ার চৌমুহনী ছাড়া আরো তিন-চার স্থানে মোকামে যাওয়া পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। চকরিয়ার-বানিয়ারছড়া হাইওয়ে পুলিশের নামভাঙ্গিয়ে উত্তর হারবাং এলাকায়ও গাড়ি থেকে টাকা আদায় করে। জানতে চাইলে পুলিশ কনষ্টেবল শফিকুর রহমান বলেন প্রতিমাসে মেচ চালাতে প্রায় ৭০-৮০হাজার টাকা লাগে। মাঝে মধ্যে নিজ বাড়ি থেকেও মেচ চালানোর জন্য টাকা আনতে হয়। টাকা না নিলে এতবড় মেচ কিভাবে চালাবো বলে তিনি সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানিয়েছেন থানায় ক্যাশিয়ার নামে কোন পদবি পুলিশের নেই। তবে মেচ চালানোর জন্য একজন ম্যানেজার থাকে। এটা শুধু পেকুয়া থানায় নয়, বাংলাদেশের সব ডিফেন্সে আছে। চাঁদা নিয়ে মেচ চালানো হয়না। পুলিশ সদস্যরা প্রতিমাসে ১হাজার টাকা মেচের জন্য দিয়ে থাকে। শফিকের আগেও এ প্রথা চালু ছিল। বর্তমানেও আছে।
প্রকাশ:
২০১৬-০২-১৯ ১৫:২৩:৫৫
আপডেট:২০১৬-০২-১৯ ১৫:২৩:৫৫
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল গ্রেপ্তার, হত্যা মামলায় জেলহাজতে
- চকরিয়ায় ট্র্যাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- চকরিয়ায় বিশেষ অভিযানে ইউপি সদস্যসহ ৯ জন গ্রেফতার
- চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয়হীন এক বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় তিনদিনের কৃষি মেলায় কন্দাল ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ
- হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীর ভোগান্তি
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীর ভোগান্তি
- চকরিয়ায় তিনদিনের কৃষি মেলায় কন্দাল ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ
- চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত পরিচয়হীন এক বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় বিশেষ অভিযানে ইউপি সদস্যসহ ৯ জন গ্রেফতার
- চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল গ্রেপ্তার, হত্যা মামলায় জেলহাজতে
- চকরিয়ায় ট্র্যাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
পাঠকের মতামত: