পেকুয়ায় এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার বসতভিটা দখলে নিতে তৎপর হয়েছে একদল ভুমিদস্যু। প্রায় ২ একর জায়গা নিয়ে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়া পুর্ব আধারী উত্তর অফিস এলাকায় স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিরোধে জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবুনিয়ায় ২ একর জমিতে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন ওই এলাকার মো.শরীফ (৭৫)। তিনি দেশ বিভক্তির সময় দেশ ও মাতৃকার জন্য সরাসরি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও শত্রু মোকাবেলা করতে তিনি চট্টগ্রামের বাশঁখালীতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সার ও সাবেক সাংসদ এড. জহিরুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন। তাদের অনুপ্রেরনায় ও বঙ্গবন্ধুর আহব্বানে মো.শরীফ অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে চলছে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান এ মুক্তিযুদ্ধার গৌরবময় অর্জন ও স্মৃতি। বর্তমানে একদল চিহিৃত ভুমিদস্যু চক্রতার বসতভিটা দখলে নিতে মরিয়া হয়েছেন। স্থানীয় আব্দুল খালেক, জাফর আলম জানিয়েছেন, বিগত ৫০ বছর আগে মো.শরীফ ২ একর জায়গা আবাদ করেন। চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের অধীন ও পহরচাদা বনবিটের আওতায় শিলখালীর জারুলবুনিয়া পুর্ব আধারীতে ওই জায়গায় বসতি স্থাপন সহ সামাজিক বাগান সৃজন করে। পরিচর্যার মাধ্যমে বাগানে শত শত বৃক্ষ সৃজন করেন ওই মুক্তিযুদ্ধা। বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় ওই মুক্তিযুদ্ধাকে ওই জায়গা থেকে সাময়িক বিতাড়িত করে। তবে সেসময় নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মুলে ক্রয় করে ফের দখল পায় ওই মুক্তিযুদ্ধা। স্থানীয় নজির আহমদ, আবুল বশর ও জাফর আহমদসহ সামাজিক বাগানের উপকার ভোগিদের কাছ থেকে একই জায়গা খরিদ করে সেখানে বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সৃজন করে। বর্তমানে গাছগুলি পরিপক্ষ হয়েছে। কিন্তু বৃক্ষ ও সংরক্ষিত বনের রিজার্ভ ভুমির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শীলখালী ইউনিয়নের মাঝেরঘোনা এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে শাহ আলম ও শামসুল আলমের। তারা সম্প্রতি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে মুক্তিযুদ্ধার জায়গা দখলে নিতে হানা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়। এর সুত্র ধরে ওই প্রভাবশালী চক্র মুক্তিযুদ্ধা ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করেন। মুক্তিযুদ্ধা মো.শরিফ জানায় তারা আমার প্রায় ৫০বছরের ভোগ দখলীয় জায়গা জবর-দখলে নিতে প্রশাসনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ খুঁজছে। বিএনপির আমলে আমাকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদ করেছিল। কিন্তু টাকা দিয়ে ক্রয় করে জায়গা ফেরত পেয়েছি। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় অধিষ্টিত। আশা করছি আমার উপর আর অবিচার হবেনা। তাদের সে মিথ্যা মিশন ব্যর্থ হবে।
প্রকাশ:
২০১৭-০১-০১ ০৯:২৭:১৭
আপডেট:২০১৭-০১-০১ ০৯:২৭:১৭
- মিলেমিশে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের প্রতিযোগিতা
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- চকরিয়ায় মসজিদের নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতে চকরিয়ায় কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
পাঠকের মতামত: