ঢাকা,মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় মসজিদ-এতিমখানা-হেফজখানার জন্য বরাদ্ধের ১০ টন খাদ্য শষ্য আত্মসাতের অভিযোগ

জাফর পেকুয়াপেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ের বিভিন্ন গ্রামের ১০টি মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা হেফজখানায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য কাবিখা প্রকল্পের ১০ টন খাদ্য শষ্য কালোবাজারে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: মানিকের বিরুদ্ধে। গত কয়েক দিন পূর্বে মসজিদ-মাদ্রাসার বরাদ্ধ আত্মসাতের ঘটনাটি এলাকায় চাউর হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অনেকেই ওই ইউপি সদস্য সরকারী খাদ্যশষ্য আত্মসাতের বিষয়টি জরুরী তদন্তকরে দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৪-১৫ অর্থ বৎসরের প্রথম পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় পেকুয়া উপজেলা পরিষদ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা-হেফজখানায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব খাদ্য শষ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩লাখ ৩০হাজার টাকা। জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য মো. মানিক প্রকল্প সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দিয়ে তার অনুকূলে ওই ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দেওয়া হয় উপজেলা পরিষদ থেকে। এরপর গত বছরই দুই কিস্তির ডিও পেকুয়া পিআইও অফিস গ্রহণ করে মানিক মেম্বার চকরিয়া খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্য শষ্য উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়ে সরকারী বরাদ্ধের সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন। চলতি মাসের ২ ফেব্রে“য়ারী পর্যন্ত ওই বরাদ্ধের অনূকূলে কোন কাজ হয়নি। সরেজমিনে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় পরিদর্শন করেও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লুটপাটের সত্যতা মিলেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানাতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য মানিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি প্রকল্প চেয়াম্যান হিসেবে পেকুয়ার বিভিন্ন গ্রামে মসজিদ মাদ্রাসায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য ১০ টন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ নিয়েছিলেন। তবে তিনি বন্যার কারনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন। বরাদ্ধে অর্থগুলো তার কাছে গচ্ছিত রয়েছে। আত্মসাৎ করা হয়নি। এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য মানিক মেম্বার জানান, তিনি টাকা পয়সাওলা লোক ১০ টন খাদ্য শষ্য আত্মসাতের মতো কোন মনমানসিকতা তার নেই। তিনি চাইলে একদিনের মধ্যেই বরাদ্ধের বিপরীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।

পেকুয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাবিখা প্রকল্পের লুটপাটের বিষয়ে সত্যতা প্রমানিত হলে সংশিষ্ট প্রকল্প কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: