কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জমিদার কবির আহমদ চৌধুরী বাড়ীর পুকুর ভরাটের পাঁয়তারা করা স্থানীয় এক বিএনপি নেতাসহ আরো এক জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী জমিদার বাড়ীর এক সদস্য। গত ২২ জানুয়ারী পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের অঞ্চলের পরিচালক বরাবরে মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একই ইউনিয়নের শুদ্ধাখালী গ্রামের মৃত মনোহর আলমের পুত্র মাষ্টার রিদুয়ানুল হক সহ আরো একজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন পেকুয়া জমিদার বাড়ীর আবু তাহের চৌধুরী বাচ্চু মিয়া। এছাড়াও অভিযোগে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী গ্রামের এমদাদ মিয়ার পুত্র ছরওয়ার উদ্দিনকেও বিবাদী করা হয়েছে।
তিনি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া মৌজার ২ নং সিটের বিএস ১৩৮ নং খতিয়ানের ১৫১৬ নং দাগের ৫০ শতক জমিতে একটি দীঘি অবস্থিত। এ দীঘিটির পানি দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়া জমিদার বাড়ীর বিভিন্ন পরিবারের সদস্য ও আশেপাশের লোকজন তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে বিএনপি নেতা মাষ্টার রিদুয়ানুল হকের নেতৃত্বে একদল প্রভাবশালী জমিদার বাড়ির ওই দীঘিটি ভরাট করে তাতে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে চুড়ান্ত করেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬ (ঙ) ধারা অনুযায়ী জলাধার হিসেবে ব্যবহৃত পুকুর ভরাট বা অন্যায়ভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা দন্ডনীয় অপরাধ।
পরিবেশ অধিপ্তরে অভিযোগ দায়েরকারী পেকুয়া জমিদার বাড়ীর মরহুম কবির আহম চৌধুরীর পুত্র জমিদার আবু তাহের চৌধুরী বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করেছেন, কালো টাকার প্রভাব বিস্তার মগনামার বিএনপি নেতা মাষ্টার রিদুয়ান জমিদার বাড়ীর দীঘিটি ভরাটের পাঁয়তারা শুরু করেছে। তিনি জমিদার বাড়ীর দীঘিটি রক্ষায় প্রয়োজনে পরিবেশ আইনে আদালতে মামলাও করবেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মাষ্টার রিদুয়ানুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ সরাসরি অস্বীকার করেছেন এবং তিনি এসব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন।
পাঠকের মতামত: