পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো: মাহফুজের সাথে ইউপি সদস্য এম শাহনেওয়াজ আজাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পিআইও কার্যালয়ে হাতাহাতির ঘটনা শুরু হলে পুরো উপজেলা পরিষদে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে আসা সেবা প্রার্থীরা আত্মরক্ষার্থে দিকবেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য বিক্ষুব্ধ হয়ে অফিস ঘেরাও চেষ্টা করলে চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যদের নিভৃত করেন।
এ ঘটনায় পক্ষ বিপক্ষে বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রকল্প কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহফুজ বলেন, শাহনেওয়াজ এমইউপি তার প্রকল্পের কর্মসৃজন প্রকল্পের বিল ফরমে অর্ধেক সাক্ষর করেন। বাকি অর্ধেক সাক্ষর না করায় বিল না ছাড়াই তিনি অফিসে এসে অশ্লীল ভাষায় গালি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে সকল ইউপি সদস্যরা অফিসে এসে বাকবিতন্ডা শুরু করলে চেয়ারম্যান তাদের নিভৃত করেন।
প্রকল্প কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিল ফরমে সাক্ষর না করলে বিল ছাড়ার উপায় নাই। অথচ ইউপি সদস্য এম.শাহনেওয়াজ অফিসে এসে বিল ছাড়ার জন্য অফিস সহকারী মাহফুজকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে সদর ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এম শাহনেওয়াজ আজাদ বলেন, গরীব অসহায় মানুষ কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করে থাকে। তারা সঠিক সময়ে কাজ করলেও বিল দেওয়ার আগে পিআইও সৌভ্রাত দাশ ও অফিস সহকারী মাহফুজ ঘুষ দাবী করে ফাইল আটকিয়ে রাখে। ১৩ জুলাই অফিস সহকারী ঘুষ দাবী করে ফাইল আটকিয়ে রাখায় ইউপি সদস্যরা বিক্ষুব্ধ হয়েছিল। ঘুষ দাবীর বিষয়টি তাদের কাছে রেকর্ড আছে বলে জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ জানান, অফিসে ইউপি সদস্যদের সাথে পিআইও কর্মকর্তার সহকারীর সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি সেখানেই শেষ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: