ঢাকা,মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

পেকুয়ায় টইটং খালে মাটির বাঁধ

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটংয়ের প্রবাহমান খালে তৈরী করা হয়েছে মাটির বাঁধ। এতে করে চাষাবাদের আওতায় আসবে এরশাদ আলী চৌধুরী ওয়াকফ স্টেটের বিপুল জমি। চলতি বুরো মৌসুমে পেকুয়াসহ সারাদেশে ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষক মাঠে নেমেছে।

পেকুয়ায় টইটংয়ে এরশাদ আলী ওয়াকফের ফসলী জমি রয়েছে। পানি ও সেঁচের সাহায্যে রবি মৌসুমে এরশাদ আলী ওয়াকফের জমিসহ আশপাশের বিপুল জমিতে চাষাবাদ হয়। প্রতি বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ছড়ার পানি দিয়ে এ সব জমিতে ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। ফসল ফলানোর জন্য টইটং খালে প্রতি বুরো মৌসুমে নির্মিত হয় মাটির বাঁধ। চলতি বুরো মৌসুমে জমিতে ফসল উৎপাদন করতে সম্প্রতি এ বাঁধটি তৈরী হয়েছে।

টইটং ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র টইটং বাজারের পূর্ব পাশে টইটং উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব ও উত্তর দিকে টইটং খালে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরশাদ আলী ওয়াকফের অর্থায়ন থেকে মূলত এ বাঁধটি তৈরী করা হয়। টইটংয়ের ৩ নং ওয়ার্ড ও ২ নং ওয়ার্ডের সীমানায় প্রবাহমান টইটং খাল পাহাড়ী ছড়ার সাথে মিশেছে। ছড়ার উপর থেকে নেমে আসা পানি নিন্মাঞ্চলের দিকে যাতে করে ধাবিত না হয় সে লক্ষ্যে এ বাঁধটি দেওয়া হয়েছে।

এরশাদ আলী ওয়াকফে সম্পত্তিতে দীর্ঘ সময় যাবৎ মোতোওয়াল্লীর পক্ষে কার্যকারক হিসেবে দায়িত্বপালনকারী নুরুন্নবী জানান, এ বাঁধটি অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতি বছর বুরো মৌসুমে আমরা এ খালে মাটির বাঁধ নির্মাণ করছি। এ বছরও করা হয়েছে। পানি আটকাতে টইটং হাই স্কুলের পূর্ব পাশে এ বাঁধটি তৈরী করেছি। আমাদের অফিসিয়াল মোতোওয়াল্লী হচ্ছেন ইউএনও স্যার।

আমাদের ওয়াকফ সম্পত্তি অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে এ বাঁধটি তৈরী হয়। তিনি আরো জানান, মাটি দ্বারা বাঁধ নির্মাণ করতে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। গাছের ফাইলিং, বাঁশের বেড়া, মাটিসহ শ্রমিকের মজুরী খাতে এ অর্থ ব্যয় হয়েছে।

পাঠকের মতামত: