ঢাকা,মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

পেকুয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ড্রেজিং মেশিনে বালি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব

pic 18-02-2016 (2)এম.জুবাইদ.  পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে মূল্যবান খনিজ সম্পদ বালি উত্তোলন আহরণ পাঁচার বানিজ্যে মেতেছে উঠেছে প্রভাবশালীরা। এতে সরকার শুধু বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিমত পরিবেশবাদীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭ ইউনিয়নের পেকুয়া উপজেলায় ৩-৩টি ইউনিয়ন যথাক্রমে টইটং, বারবাকিয়া ও শিলখালী ইউনিয়নে রয়েছে বিস্তির্ণ বনাঞ্চল। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের অধিন বারবাকিয়া রেঞ্জভুক্ত হিসাবে পরিচিত ৩ ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনবিভাগের সহায় সম্পদের দেখভালোয় রয়েছে টইটং, বারবাকিয়া ও পহরচাঁদা নামের ৩টি বনবিট। গতকাল টইটং ও বারবাকিয়া বনবিট এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ওই এলাকার সংগ্রামেরজুম, আরগিল্লারদারা ও তৎসংগ্লন্নে সংরক্ষিত বনবিভাগের ছড়াগুলোয় পৃথক পৃথক সিন্ডিকেটের লোকজন বালি উত্তোলনের একাধিক ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিত ভাবে মূল্যবান পাহাড়ী খনিজ সম্পদ উত্তোলন আহরণ পাঁচার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িতদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, বালিদূস্যতায় জড়িতদের নাম প্রকাশের ঘটনা টের পেলে অভিযুক্তরা তাদের শুধু নানা ভাবে শোষন হয়রানীই নয় প্রয়োজনে খুন গুমও করতে পারে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পৃথক ৪/৫টি সিন্ডিকেটে বালি উত্তোলনের অবৈধ ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে মূল্যবান এ খনিজ সম্পদ আহরণ পাঁচার বানিজ্যে মাতলেও নাম পাওয়া গেছে ২টি চক্রের। এরা হলেন যথাক্রমে টইটং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ধনিয়াকাটা পূর্ব আবদুল্লাহপাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র মোঃ আবদুল জব্বার প্রকাশ সন্নাসী জব্বার। আর তার সাথে রয়েছে একই এলাকার মোঃ কালুর পুত্র মোহাম্মদ রফিক। এছাড়া পৃথক আরেকটি ক্ষমতাধর সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ীয়াখালী এলাকার জাফরের পুত্র বর্তমান মেম্বার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ বনরাজা জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মোঃ আলমগীর প্রকাশ ডাকাত আলমগীর। বনবিভাগের সংরক্ষিত রিজার্ভ পাহাড়ী লোকালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন আহরণ পাঁচার বানিজ্যের কারণে সেখানকার পাহাড় টিলাগুলোয় দেখা দিয়েছে ছোট বড় বিপদজনক ফাটল। এছাড়াও সেখানে উত্তোলিত বালি পাঁচারে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মান করায় বন জীব বৈচিত্র রক্ষার পরিবেশও পড়েছে হুমকির মুখে। বনবিভাগের সংরক্ষিত রিজার্ভ পাহাড়ি লোকালয়ে ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিত বালি উত্তোলনের ফলে সেখানকার বন পরিবেশে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের বিপর্যয়। এ সব বিষয়ে, বনবিভাগের লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারা নিজেদের ঢাল তলোয়ার বিহীন নিধিরাম সর্দ্দার উল্লেখ করে বলেন, পর্যাপ্ত অস্ত্র ও জনবল সংকট ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের সার্বক্ষনিক সহযোগিতার অভাবে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু ছাড়া তাদের পক্ষে অপরাধীদের ধরে বিচারাদালতে সৌপর্দ্দ সম্ভব হয় না বলে দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহাবুব উল করিমের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি কেউ তাকে অবহিত করেনি বলে জানান। তিনি আরো জানান সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বালি দূস্যতা বন্ধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাইলে প্রয়োজনে তিনি স্বঃশরীরে পরিদর্শনে গিয়ে আইনানূগ ব্যবস্থা নেবেন।

####################

পশুর সাথে এ কেমন শত্র“তা!
নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পশুর সাথে মানুষের এ কেমন শত্র“তা। পশুরা বুঝে না কিছু কোথায় যেতে হবে যেতে হবে না। এটি কার ফসলী জমি না পরিত্যক্ত জমি তা বুঝে না। তাই বলে কি ভাতে বিষ মিশ্র করে দিয়ে এভাবে নির্বিচারে ৪০টির চেয়ে বেশি হাঁস নিধন করতে হয়। যারা এসব নেক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পশুর চেয়ে অদম। এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকায়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদূর্শী এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে ফোরকান জানায় ওই দিন বিকাল ৪ টায় একই এলাকার নুরুল কবিরের পুত্র ফোরকান ও রাশেদা বেগমের মালিকানাধীন ৩০-৪০টি হাঁস বাড়ীর পাশ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত জায়গায় বিচরণ করে। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন ও বিচরণ করতে যায়। কিন্তু একই এলাকার মৃত বজল আহমদের পুত্র নাছির ও বেলাল প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে পূর্বশত্র“তার জের ধরে ভাতে বিষ মিশ্র করে হাঁস গুলোকে খাবার দেয়। হাঁসগুলো বিষ মিশ্র করা ভাতগুলো খেয়ে ওখানে মারা যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় সেলিম মিস্ত্রী প্রকাশ নোয়াখায়ল্যা সেলিম প্রতিপক্ষ থেকে মোটাংকের টাকা নিয়ে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম মিস্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাইলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং টাকা নিয়ে ম্যানেজের বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

#################
পেকুয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি.পেকুয়া  :::
পেকুয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে যাচাই বাছাই শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি ও জেলা কমা-ার মো. শাহজাহান, সদস্য সচিব ও পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব-উল করিম, পেকুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার মোহাম্মদ ছাবের, কেন্দ্রীয় কমা- কাউন্সিলের প্রতিনিধি সদস্য আক্তার আহাম্মদ, জেলা কমা-ারের প্রতিনিধি মো. ইউছুফ, উপজেলা কমা-ারের প্রতিনিধি ছিদ্দিক আহমদ, জামুকা প্রতিনিধি সদস্য অজিত কুমার নাথ । নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে অনলাইনে আবেদন করেছিলেন ২৩ ব্যক্তি। কিন্তু গতকাল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হন ১৬ জন। অন্য সাতজন যাচাই বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হননি। এছাড়া গতকালও মুক্তিযোদ্ধা হতে আগ্রহীরা স্বশরীরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার মো. শাহজাহান বলেন, ‘যাঁরা (আবেদনকারী) যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হননি, তাঁদের জন্য আজকেই (গতকাল) সময় শেষ।’পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুব-উল করিম বলেন, ‘গতকাল যাচাই বাছাই কমিটিতে উপস্থিত হয়ে গেজেটভুক্ত ১৬ জন ও অনলাইনে আবেদন করা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন স্বাক্ষাতকার দিয়েছেন। ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় অর্šÍভুক্ত চারজন মুক্তিযোদ্ধাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: