ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পরাজয় নিশ্চিত জেনেই একটি শ্রেনী জেলা আ’লীগের কাউন্সিল চায়নি

jafar-alam-chakaria-28-1-16সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের ৩১জানুয়ারী সম্মেলন ও কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সদস্য কারা নির্যাতিত জননেতা আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ ২৮জানুয়ারী দিনব্যাপী কুতুবদিয়া উপজেলা ও তার নিজ এলাকা চকরিয়া-পেকুয়ায় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে কাউন্সিলর ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে স্বাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।
এসময় তিনি কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পদ-পদবী হারানো ভয়ে এবং পরাজয় নিশ্চিত জেনেই্জেএকটা শ্লারেণী  আওয়ামীলীগের কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে করেনি। তারা ভেবেছিল কেন্দ্রে লবিং করে, দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্মানীত কাউন্সিলারদের অবাজ্ঞা করে বিকাশ মার্কা কমিটি নিয়ে আসবেন। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সভাপতি প্রার্থী জাফর আলম জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলারদের নিজ নিজ মত প্রকাশের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ায়। আপনারাই (কাউন্সিলরা) প্রমাণ করবেন দলের ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের দু:সময়ে ও বিএনপি-জামাত জোটের অগতান্ত্রিক আন্দোলনে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের নির্বাচিত করার মাধ্যমে। আজকে যারা জেলা আওয়ামীলীগের বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া সহ পুরো কক্সবাজার জেলায় হরতাল,নাশকতা সহ অগতান্ত্রিক আন্দোলনে আপনাদের কি ভূমিকা ছিল, তখন তারা বসেছিল ঢাকা-কক্সবাজারের এসি রুমে ও রাতের বিএনপি-জামায়াতের সাথে। কুতুবদিয়ার কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে জাফর আলম বলেন, আপনাদের পাশ্ববর্তী উপজেলা চকরিয়া-পেকুয়া আমার নির্বাচনী এলাকা। ওই এলাকায় আওয়ামীলীগকে যেভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হয়েছে, ঠিক সেইভাবে কুতুবদিয়া সহ পুরো কক্সবাজার জেলাকে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিণত করতে কাজ করা হবে। তিনি বলেন, পেকুয়ায় আমার ব্যক্তিগত প্রায় ৪০লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে আওয়ামীলীগের জন্য স্থায়ী অফিস নির্মাণ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনিই জেলা সভাপতি নির্বাচিত হলে কুতুবদিয়ায় স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হবে এবং দলের নির্যাতিত ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। যারা আপনাদের কাছে বিগত ১যুগ ধরে দেখতেও আসেনি, খবর রাখেনি, তারা এখন জেলা কাউন্সিলকে সামনে রেখে বড় বড় আসার বাণি শুনাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি সরওয়ার আলম, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আওরঙ্গজেবচ মাতব্বর, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বি.কম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ মাস্টার, জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজমগীর, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম,চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদিউল আলম, চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, চেয়ারম্যান রুস্তম আলী, মগনামার সভাপতি এনামুল হক, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক বারেক, টৈটংয়ের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও দলীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: