ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
চকরিয়া প্রতিনিধি :
নিজের ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান। উঠতি বয়সের ছেলে তারেক রহমান টিটু (২২)কে বিপদগামীতা থেকে রক্ষা পেতে আইনের হাতে সোপর্দ করলেন তিনি। গত ১১মার্চ রাতে নিজ ছেলে টিটুকে নিয়ে চকরিয়া থানা যান ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা নুরুল আমিন। এসময় চেয়ারম্যান পুলিশকে অভিযোগ করেন তার ছেলের প্রতিনিয়ত চোর-ডাকাত-সন্ত্রাসীদের সাথে উঠা-বসা। একজন প্রতিনিধি হয়ে তার মান-সম্মান বলতে কিছুই থাকছে না। তাই উপায়ান্তর না দেখে নিজের ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ডাকাতির মামলায় চালান দিতে বলেন। অবশেষে একটি চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছেলে টিটুকে আদালতে প্রেরণ করেন এসআই সুকান্ত চৌধুরী। এদিকে চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত দেখে এলাকাবাসী অবাক হয়ে যায়। সাধারণত কোন জনপ্রতিনিধির পুত্র বা নিকটাÍীয় অপরাধে আটক হলে কতইনা দৌড়-ঝাঁপ! উদ্ধার তৎপরতা চালাতে শুরু করেন হরেক রকমের আকাম-কুকাম। কিন্তু এই আমিন চেয়ারম্যানই দেখিয়ে দিলেন সন্তানকে অপরাধের পথ থেকে রক্ষা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এব্যাপারে ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন- ‘আমি চেয়ারম্যান, সে সুবাদে আমি এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের পক্ষে সালিশ-বিচার করি। কিন্তু প্রতিনিয়ত এলাকার মানুষ আমার ছেলেকে নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ আনেন। এ নিয়ে আমার মান-সম্মান বলতে কিছুই থাকছে না। তাই ভালো হওয়ার জন্য ছেলেকে পুলিশে দিয়েছি। দেখি কিছুদিন সেখানে থাকুক, ভালো হয় কি-না!’ ঘটনার সত্যতা জানান চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কামরুল আজম। এদিকে চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের এই নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত এলাকায় প্রতিনিয়ত তোলপাড় চলছে। অনেকে জানান আজ যদি প্রতিটি জনপ্রতিনিধি এমন হতো সমাজে অপরাধীদের বালাই খুঁজে পাওয়া যেত না। এই নজিরবিহীন ঘটনা ডুলাহাজারাবাসী আজীবন মনে রাখবেন বলে জানান স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত: