ঢাকা,শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে প্রস্তুত কক্সবাজার

বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার :::

বছরে শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট মানেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকের লোকারণ্য। বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার ছুটে আসছে পর্যটকরা। সে সাথে যোগ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ছুটি। সব মিলিয়ে পর্যটকে ভরপুর এখন কক্সবাজার। সব বয়সী মানুষের coxsপদচারণায় সৈকতে পরিণত হয়েছে মিলন মেলায়। সৈকতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী বিচ কার্নিভাল। সেখানে থাকছে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের ওপেন কনসার্টসহ বর্ণিল আয়োজন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা যেমন প্রস্তুত গ্রহণ করছে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তেমনি পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কিছু হোটেলেও থাকছে ঘরোয়া আয়োজন। এসব অনুষ্ঠান উপভোগ আর বছরের শেষ দিন পরিবার, বন্ধু আর প্রিয়জনের সাথে কাটাতে ভ্রমণপিপাসুরা যাচ্ছেন কক্সবাজারে। সব বয়সী পর্যটকদের মিলন মেলায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে আনবে ভিন্ন মাত্রা। সৈকতে অনেকে এসেছে পরিবার নিয়ে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন করতে আবার কেউ এসেছেন হানিমুনে।

গাজীপুর থেকে মহিম আর নয়না দম্পতি এসেছে হানিমুনে। নয়না বলেন, ৫ বছর প্রেম করে বিয়ে করেছি। দুজনই চাকরিজীবী হওয়ার কারণে সময় পাওয়া যায় না। তাই এবার সময় পেয়ে হানিমুন করতে আসলাম।

আশুলিয়া থেকে পরিবার নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে আসা সুমন রহমান জানান, গত ৫ বছর ধরে তারা এখানে আসেন বছরের শেষ আর প্রথম দিনটি উপভোগ করতে।

সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে আসা হারিছ আহমেদ, মনিুরুল ইসলাম ও ফরিদ আহমদ জানান, তারা আগামীকাল শনিবার বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখার জন্য কক্সবাজার এসেছেন।

ইতিমধ্যে কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজও অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী36দের মতে এবার কক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে।

আবাসিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ শফিকুর রহমান জানান, সাড়ে ৪ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে তাদের ধারণ ক্ষমতা দেড় লাখ। একই সঙ্গে বিলাস বহুল আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট সমূহ আরো ৫০ হাজার মানুষ থাকবে। তাও বুকিং হয়ে গেছে।

একই কথা বলেছেন হোটেল দ্যা কক্সটুডের পরিচালক (অপারেশন) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, অগ্রিম বুকিং নিয়ে সকল প্রতিষ্ঠান থার্টি ফার্স্ট নাইটে পালনে প্রস্তুত রয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল থেকে সৈকতের সীগাল পয়েন্টে শুরু হয়েছে বিচ কার্নিভাল। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও কর্নিভাল ইভেন্ট আয়োজিত এ কর্নিভালে থাকছে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের ওপেন কনসার্টসহ বর্ণিল আয়োজন। এতে এল আর বি, জেমস, নগর বাউল, আখি আলমগীরসহ অনেক শিল্পীর গান পরিবেশনার পাশপাশি থাকছে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা। এ কার্নিভালের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৪ স্তরের নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে কক্সবাজারকে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, র্যা ব, ও টুরিস্ট পুলিশ যৌথভাবে সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানিয়েছেন, ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৮০২ জন পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও মাঠে রয়েছে আরো ২০০ জন পুলিশ সদস্য। এছাড়া মাঠে টহল দিচ্ছে র্যাাবের ৪টি ইউনিট।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কয়েকটি বড় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও অনেক পর্যটক এখন কক্সবাজারে। এদের নিরাপত্তার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: