এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানাখাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতবছরের ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার বেশ কজন ব্যক্তি। কিন্তু অভিযোগ দেয়ার পর প্রায় ৫মাস সময় অতিবাহিত হলেও এব্যাপারে কোন ধরণের তদন্ত হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা। এ নিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা দাবি করেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রোস্তম আলী সরকারি বরাদ্ধের বেশির ভাগ কাজে অনিয়ম করেছেন। বিশেষ করে গরীব পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাউল বিতরন, এনজিও সংস্থার দেয়া ত্রাণ বিতরনসহ নানাখাতে অনিয়ম করেছেন। অভিযোগে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, ইউনিয়নের সাড়ে তিনশত পরিবার থেকে খাস জমি বরাদ্ধ দেয়ার নামে ১০হাজার টাকা করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। এসব টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন বলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে দাখিল করা অভিযোগে তুলে ধরেন অভিযোগকারীরা।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে গতবছরের ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর অদ্যবদি এব্যাপারে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, পরিষদের বরাদ্ধে এসব অনিয়মের পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী, গিয়াস উদ্দিন মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মঈন উদ্দিন চৌধুরীসহ অনেকে মিলেমিশে জনগনের ব্যবহৃত ঢেমুশিয়া খানজাম্মার খাল দখলে নিয়ে সেখানে মাছ চাষ করছেন। তদন্ত করলে এসব অনিয়মের অনেক ঘটনা ধরা পড়বে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা। এব্যাপারে আবেদনকারীসহ এলাকাবাসি প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। #
পাঠকের মতামত: