চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নাথ পাড়া বাসির এক মাত্র শ্মশানটিতে বঙ্গবন্ধু সাফারীপার্কের বাউন্ডারী না দেওয়ার দাবীতে এবং তাদের ফিরে পেতে এলাকার নারী-পুরুষরা মানব বন্ধন ও র্যালী বের করেছে। সাফারী পার্ক কতৃপক্ষ শ্বশান দখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেরও আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল। এদিকে শ্বশান দখল নিয়ে চকরিয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম আতংক।
গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকাল ৪টার দিকে শ্মশান কমিটির সভাপতি হিমাংশু বিমল নাথ ও সম্পাদক নিপুর নাথের নেতৃত্বে নাথ পাড়াস্থ তাদের শত বছরের শ্মশানটি ঘেরাও করে তারা মানব বন্ধন করে। এরপর তারা মহা-সড়কে র্যালী বের করে। ১৯৪৭ সাল থেকে স্থাপিত শ্মশানটির মুক্তির দাবীতে শ্মশান কমিটি চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে ১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৪৭ সালে তাদের পূর্ব পুরুষরা উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মগছাড়াজুম এলাকায় সরকারী কিছু পাহাড়ি জমির উপর শ্মশান তৈরি করে সৎকার করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতাই শ্মশানটি এখনো নাথপাড়া এলাকাবাসীর দখলে রয়েছে। সাফারীপার্ক হওয়ার সময় তাদের ঐতিহ্যবাহী মহা-শ্মশানটি আলাদা রেখে সাফারীপার্কের সীমানা নির্ধারণ করেছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বর্তমানে সাফারীপার্কের নতুন বাউন্ডারী দিতে গিয়ে শ্মশানটিও ঘিরে পেলার চেষ্টা চালাচ্ছে সাফারীপার্ক কতৃপক্ষ। ভূক্তভোগী শ্মশানকমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপুর নাথ বলেন, তাদের দীর্ঘ বছেরের একমাত্র শ্মশানটি না থকলে তাদের আর কোন শ্মশান নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাফারীপার্কের রেঞ্জকর্মকর্তা মোঃ নুরুল হুদা বলেন, আমরা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সাফারী পার্কের জায়গায় বাউন্ডারী নির্মাণ করে যাচ্ছি। এতে সাফারী পার্কের জমি হিসেবে তাদের শ্মশানটিও রয়েছে। তারা যদি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করে তাদের শ্মশান বের করে নিতে পারে এতে আমাদের কোন বাধা নেই। এ ব্যপারে এলাকাবাসী তাদের শত বছরের শ্মশানটি ফিরে পেতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।ডুলাহাজারা সাফারীপার্ক নিয়ে যাচ্ছে শত বছরের শ্মশান, ফিরে পেতে এলাকাবাসীর মানব বন্ধন
পাঠকের মতামত: