ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হাতির রহস্যজনক মৃত্যু

ডুলাহাজারা প্রতিনিধি, চকরিয়া :Chakaria Picture 02-07-2017
কক্সবাজারের চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি বাচ্চা হাতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পার্ক পরিচালক ও কর্মকর্তার অনিয়ম-অবহেলায় কারনে উঠতি বয়সী দেড় বছরের হাতিটি মারা যায়। তবে পার্ক কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখে ঘটনার ধামাচাপা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই মারা যাওয়া হাতির মৃতদেহটি পরদিন সকালে মাটি কুঁড়ে পুতে ফেলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পার্ক কর্মচারী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হাসপাতালে রক্ষিত আনুমানিক দেড় বছর বয়সের একটি বাচ্চা হাতি মারা যায়। কিছু বুঝে উঠার আগে পরদিন ৬সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে গড়িমসি করে হাতির মৃতদেহটি মাটিতে ফুঁতে ফেলা হয়। অভ্যন্তরীণ সুত্রে আরো জানাযায় হঠাৎ বাচ্চা হাতিটির ডাইজেসান জনিত সমস্যার কারণে পেট ব্যথা শুরু করে। পরে অসুস্থ হাতিটি পার্কের নিজস্ব পশু হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছিল সংশ্লিষ্টরা। চিকিৎসকের তত্বাবধানে থেকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারণে উল্লেখিত সময়ে বাচ্চা হাতিটি মারা যায়। তবে পার্ক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা মনে করেন হাতিটির স্বল্পকালীন রোগ দুর করে সুস্থ করে তুলতে পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কর্তব্যরত ডাক্তার যথেষ্ট চেষ্টা করে আসছিলেন। কিন্তু মারা যাওয়ার আগেরদিন পর্যন্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা পার্কে উপস্থিত ছিলেন না, এসময় পার্কটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম। মূলত পার্ক কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও খামখেয়ালীপনার কারণে হাতির বাচ্চাটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে ধারণা করা যায়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পশু হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী ভেটিরেনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ‘হাতিটি কিভাবে বা কখন মারা গেল আমি কিছু বলতে পারব না। এব্যাপারে পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তাই ভাল বলতে পারবেন।’ এদিকে সাফারি পার্কের তত্ববাধায়ক রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মোর্শেদ আলম বলেন ‘আমিতো চট্টগ্রাম শহরে আসছি এরকম কোন খবর এখনো কেউ আমাকে জানায়নি।’ ওই সময়কালে পার্কে দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের মোবাইলে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষক (ডিপো) গোলাম মওলা রনি বলেন ‘আমি রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত আপনাকে জানাচ্ছি।’ চকরিয়াস্থ ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে ইতিপূর্বে তিনটি বাঘের শাবক সহ একেরপর এক জীবজন্তু ও পশুপাখী মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন করে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

 

পাঠকের মতামত: