চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এক খন্ড জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় সংখ্যালগু পরিবারের এক সদস্য আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তি হচ্ছে নাত পাড়ার রামা নন্দ নাথের পুত্র হরি রঞ্জন নাথ (৪৮)। এই ঘটনাটি ঘটেছে ৬ই ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা।
ডুলাহাজারা ইউনিয়নের নাথপাড়া মৃত খোকন চন্দ্র নাথের স্ত্রী পাখি বালা নাথ গত ৫ই ফেব্রুয়ারী চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, সে ও তার ভাই রঞ্জিত গত ১৯৯৮ সালের ২৭ শে মে ১৯০২নং দলিল এবং ১৯৯৮ সালের ৩জুন তারিখে ২০২২ নং দলিল মূলে যার বি.এস খতিয়ান ৮৩, দাগ নং ১৯/১৭১৫ ও ৬৭/১৭১৬ দাগাদির আন্দরে থেকে ৮০ শতক জমি ক্রয় করে। তাদের নামে নামজারি (জমাভাগ) খতিয়ান ও হয়েছে। উক্ত খতিয়ানের বিপরীতে হালসাং খাজনাও দিয়ে আসছে। বর্তমানে উক্ত জমিতে ভোগ দখলও রয়েছে। এই অবস্থায় একই ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের হাজ্বী জহির উল্লাহর পুত্র ছৈয়দ আহমদ ও আলী আহমদ ২জন ব্যক্তির নেতৃত্বে তাদের দখলীয় জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য গত ৫ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে ইট কংকর মজুদ করে। এতে পাখি বালা বাঁধা দিলে তারা তাকে গালমন্দা সহ মারধর করার চেষ্টা করে। সংখ্যালঘু হওয়ায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে পাখি বালা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়ে পাখি বালা উল্লেখিত অভিযোগটি দায়ের করায় সন্ত্রাসীরা আরোও সংঘবদ্ধ হয়ে ৬ই ফেব্রুয়ারী শনিবার সকালে কাজ করতে গেলে পাখি বালা ও তার আত্মীয় স্বজনেরা উক্ত কাজে বাঁধা দিতে গেলে মো: শফিক, ইসলাম ও ছৈয়দ আহমদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হরি রঞ্জন নাথ (৪৮) কে আটক করে ব্যাপকভাবে মারধর করে। এই সংবাদ পেয়ে সংখ্যালঘু মহিলারা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে চকরিয়া থানার এস.আই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি এই সময় উপস্থিত উভয় পক্ষকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত জায়গায় কোন ধরণের কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছে।
পাঠকের মতামত: