ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজের চলাচল বন্ধ

keary-sinহাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজের চলাচল শনিবার ১ এপ্রিল বন্ধ করে দিয়েছেন। জাহাজগুলো হচ্ছে এমভি বাঙ্গালী, গ্রীন-লাইন-১, বে-ক্রুজ, এলসিটি কুতুবদিয়া ও এলসিটি কাজল। তবে শর্তসাপেক্ষে পর্যটকবাহী দুটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। জাহাজ দুটি হচ্ছে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এবং কেয়ারি সিন্দবাদ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় শর্তসাপেক্ষে দুটি জাহাজ চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী না নেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা-সংকেত মেনে চলা, সংকেত জারির সঙ্গে সঙ্গে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা, যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেটসহ সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ফিটনেস-লাইসেন্সের কাগজপত্র সঙ্গে রাখা।

শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে এসে পর্যটকেরা ভিড় করেছেন। তার মধ্যে শুধুমাত্র কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজে করে ৩৭৮ জন পর্যটক ও স্থানীয় ৩৯ জন বাসিন্দা নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফ ছেড়ে যায়। কেয়ারি সিন্দবাদ ও কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফে ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে অনুমতি থাকায় রোববার ২ এপ্রিল থেকে ২টি জাহাজ পুরোদমে এই রুটে পর্যটক পরিবহন করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুষার আহমদ বলেন পাঁচটি জাহাজের চলাচল শনিবার ১ এপ্রিল সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বাঙ্গালী, গ্রীন-লাইন-১, বে-ক্রুজ, এলসিটি কুতুবদিয়া ও এলসিটি কাজল। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কিছু শর্তারোপে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন এবং কেয়ারি সিন্দবাদকে এ নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ৭টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল। কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন সাধারণতঃ এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর এ চার মাস ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে। সাগর উত্তাল ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার আশঙ্কায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: