ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক-৪

63গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ :::

দক্ষিণ চট্রগ্রাম পুর্ব জোনের সেন্টমাটিন কোস্টগার্ড সদস্যরা পৃথকভাবে দুটি অভিযান পরিচালনা করে ৬ লক্ষ ইয়াবা ও পাচার কাজে ব্যবহত একটি ট্রলারসহ ৪ জনকে আটক করেছে।

কোস্টগার্ড সুত্রে আরো জানা যায়, গতকাল ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সেন্টমাটিন বঙ্গোপসাগরের সীমানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবা ও ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ৪ ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতরা সবাই টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে বাবুল মিয়া (১৮),মোহাম্মদ সিরাজের ছেলে জমির আহমদ (৩৫), হোসেন আহমদের ছেলে ইদ্রিস (৩২) ও সলিম উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (১৮)। অপরদিকে গভীর বঙ্গোপসাগরের সেন্টমাটিন উপকুলে আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে সাড়ে ৫ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কোস্টগার্ড সদস্যরা। তবে এই ইয়াবার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। সু-কৌশলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানায় কোস্টগার্ড।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন অফিস ইনর্চাজ লে. আতাউর রহমান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছেড়াঁদিয়ার পশ্চিম পার্শ্বে গত সোমবার রাতে কোস্টগার্ড টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইয়াবা বহনকারী একটি ট্রলারকে ধাওয়া করে আটক করে। এর পর উক্ত ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। অপরদিকে মঙ্গলবার গভীর রাত দেড় টায় বঙ্গোপসাগরের সেন্টমাটিন উপকুল এলাকায় ইয়াবা পাচারকারীদের ধাওয়া করে বস্তাবন্ধি দুইটি ইয়াবার পুটলা থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এই সময় পাচারকারীরা আমাদের সৈনিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এতে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কাউকে আটক করা সম্বব হয়নি। এদিকে ৫০ হাজার ইয়াবার সাথে আটককৃত বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ইয়াবা গুলোর মুল মালিক ইয়াবা গডফাদার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়ার এলাকার আবদুল হামিদ প্রকাশ তত্তা কালুর ছেলে আবদুল মতলবের। বাবুল মিয়া আরো জানান, এই ইয়াবা গডফাদার মতলব তাদেরকে ইয়াবা গুলো বহন করে নিয়ে আসার জন্য সাগরে পাঠিয়েছে। তারা এই ইয়াবার সাথে জড়িত নয়,  তাই আমাদের দাবি এই সমস্ত ইয়াবা পাচার বন্ধ করতে হলে যারা লক্ষ লক্ষ ইয়াবা পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে তাদেরকে আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে প্রতিনিয়ত আমাদের মত গরীব মানুষরা সারা জীবন ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।

পাঠকের মতামত: