ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে বিজিবি হাতে উদ্ধার ৫ কোটি টাকার ইয়াবা

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ ::yaba,

কিছুইতে থামছেনা অভিশপ্ত ইয়াবা পাচার। এই ইয়াবা পাচার রোধে সরকার যতই কঠোর হচ্ছে, পাচারের সংখ্যা ততই বাড়ছে, তথ্য-অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, ইদানিং মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এর মধ্যে ইয়াবা পাচারের অন্যতম স্থান হচ্চে সাবরাং খুরের মুখ উপকুল এলাকা। এদিকে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা। তবে এই ইয়াবা গুলোর মুলহোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২১ মার্চ টেকনাফ ২ বিজিবি সৈনিকরা পৃথক ভাবে অভিযান পরিচালনা করে ৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এসময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহ্নত থাকার অপরাধে একটি ফিশিং ট্রলার জব্দ করা হয়।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়, গতকাল ২১ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ২ বিজিবি খুরের মুখ বিওপির সদস্যরা সাবরাং ইউনিয়নের পশ্চিম সমুদ্র উপকুল মুন্ডার ডেইল জেলে ঘাট এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি মাছের ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে ১ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করে। ট্রলারের মালিক সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকার কবির আহমদের পুত্র মনু মিয়া বলে জানা যায়। ইয়াবা পাচার কাজের ব্যবহারের দায়ে ফিশিং ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, মুন্ডার ডেইল এলাকার জাফর আলমের পুত্র মোঃ হোসন মাঝির নেতৃত্বে পেটান আলীসহ ৪ মাঝি মাল্লা উক্ত ট্রলার ব্যবহার করে প্রায় সময় সাগর থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে উপকুলে। আজকেও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকার মালিক ও মাঝি মাল্লারা সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবি উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী জানান, ১০ হাজার ইয়াবা ট্রলারের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ৯০ হাজার ইয়াবা ট্রলারের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রলার মালিকসহ জড়িত মাঝি মাল্লাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে হ্নীলা বিওপি ফাঁড়ীর জওয়ানরা ২১ মার্চ রাত ২টার দিকে নয়াপাড়া এলাকায় লবন মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

এসময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করে দুই পাচারকারী পালিয়ে যায় বলে জানায় বিজিবি।

পাঠকের মতামত: