ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে অপরাধী ধরতে অভিযানে পুলিশি-জনতা সংঘর্ষে গুলিবিনিময়, আটক ১৯, ইয়াবা উদ্ধার

songarsগিয়াস উদ্দীন ভুলু, টেকনাফ ॥

টেকনাফ থানা পুলিশের সদস্যরা চিহ্নিত ইয়াবা পাচারকারী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে চালিয়ে যাচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান। এক রাতে এক ইউপি সদস্যসহ আটক হলো ১৯ জন ব্যক্তি  উক্ত অভিযানে পুলিশ উদ্ধার করলো ২৩ হাজার ৯ শত পিস ইয়াবা।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য হোছাইন আহমদকে গ্রেফতার করার সাথে সাথে অত্র এলাকার বেশ কিছু বিক্ষুদ্ধ জনতা ডাকাত ডাকাত বলে পুলিশের উপর আক্রমন করতে আসে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিক্ষোভে ফেটে পড়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সদস্যরা ৫০/৬০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।

পুলিশ কাছ থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ২ আগষ্ট গভীর রাতে টেকনাফ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ সদস্যরা সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে টেকনাফ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ১৯ জন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছে মৃত সোনা আলীর পুত্র হাফেজ আলী আহাম্মদ, ৩নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী শামশুল আলম বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম, হ্নীলা সিকদার পাড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে শামশুদ্দিন,আবছার উদ্দিন,পানখালী এলাকার মৃত আহাম্মদুর রহমানের পুত্র লুৎফর রহমান সুমন, ইউছুপ আলীর পুত্র শামশুল আলম,

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন খারাংখালী নাছর পাড়া এলাকার মৃত সোলেমানের দুই পুত্রকে আটক করা হয়, তারা হচ্ছে নবী হোসেন ও সিরাজ মিয়া, কাঁটা খালী এলাকার খাইরুল বাশারসহ আরো বেশ কয়েক জন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, চিহ্নীত ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুল মেম্বারের স্ত্রী ছালেহা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার, ইউপি সদস্য হোছাইন আহমদের ছোট ভাই আলী আহাম্মদের কাছ থেকে ৫ হাজার, শামশুদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার, আবছার উদ্দিনের কাছ থেকে ২ হাজার, নবী হোসেন ও সিরাজ মিয়ার কাছ থেকে ২১শত, খাইরুল বাশারের কাছ থেকে ১৮ শত, সর্বমোট ২৩ হাজার,৯ শত পিচ ইয়াবা তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায়। অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত ওসি তদন্ত শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, ইয়াবাসহ আটককৃত অপরাধীদেরকে মাদক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে । অপরদিকে পুলিশের কাজে বাধা, বিক্ষুব্ধ জনতাকে জমায়েত করে বিক্ষুদ্ধ জনতা জড়ো হলে আমাদের সদস্যদের পক্ষ থেকে ১৫/২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় এবং আইন শৃংখলা অবনতি করার অপরাধে ৩/৪ জন এজাহার ভ’ক্ত আসামী ও ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে মাদক মামলা রুজু হয়েছে ৬ টি ও পুলিশ এ-সল্ট মামলা একটি রুজু করা হয়।

তিনি আরো জানান, টেকনাফ উপজেলার চিহ্নীত ইয়াবা কারবারি, সন্ত্রাসীদের দমন ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমাদের পুলিশ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে ইউপি সদস্য হোছাইন আহমদসহ আরো ৫ জন আটককৃত ব্যক্তিদের অপরাধ যাচাই বাছাই করে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

পাঠকের মতামত: