ঢাকা,শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

জালিয়ারদ্বীপে ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার  :
টেকনাফের জালিয়ারদ্বীপে বা জলিলের দ্বীপে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ট্যুরিজম পার্ক। নেটং পাহাড়ের নিকটবর্তী নাফনদীতে আশির দশকে জেগে ওঠা এ চরের ২৭১ একর ভূমির উপর ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ইউনি কনসাল্ট নামের একটি জার্মান পরামর্শক সংস্থার মাধ্যমে এই দ্বীপে সব ধরনের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে বুধবার অবকাঠামো উন্নয়নে দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজা।এ বিষয়ে বুধবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে বেজার প্রধান কার্যালয়ে ট্যুরিজম পার্কটি নির্মাণের জন্য দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দেশী-বিদেশি কোম্পানীগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। সভায় চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও জাপানের মোট নয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পবন চৌধুরী জানান, নাফ ট্যুরিজম পার্কটি হবে বাংলাদেশের প্রথম ট্যুরিজম পার্ক, যা বিনোদন জগতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে।
তিনি এই পার্কে ‘সুস্থ’ বিনোদনের সব ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে বলেন- এখানে ঝুলন্ত ব্রীজ, রিসোর্ট, কেবল কার, ওশেনারিয়াম, ভাসমান রেস্তোরাঁ, ইকো-কটেজ, কনভেনশন সেন্টার, সুইমিংপুল, ফান লেক, একুয়া লেক, মাছ ধরার  জেটি, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, শিশু পার্কসহ বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন থাকবে। ট্যুরিজম পার্কটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান এবং পরোক্ষভাবে আরও প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি আশা করেন এই দ্বীপে চলতি বছরের মধ্যেই ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হবে এবং আগামী বছরের মধ্যে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান- কক্সবাজারকে ঘিরে বর্তমান সরকার যেসব মেগা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, তারই একটি অংশ জলিলের দ্বীপে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ।
তিনি আশা করেন- দ্বীপটি দেশী-বিদেশী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই দ্বীপে ট্যুরিজম পার্ক হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

পাঠকের মতামত: