বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর আদাবর থানার এসআই রতন কুমার হালদারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ এ নির্দেশ দেন।
সকালে একই আদালতে এসআই রতন কুমার হাওলাদার তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আমরা উভয়েই আপোষ-মীমাংসা করেছি। তাই আমদের এ মামলায় জামিন দেয়া হোক। অপরদিকে বাদী বলেন, তাকে জামিন দিলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
শুনানি শেষে আদালত এসআই রতনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এসআই রতন কুমার হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এ বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান।
তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে, বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে এসআই রতন কুমার হালদার শ্লীলতাহানি করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ তদন্তে পাঁচজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন নিরপেক্ষ ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে এসআই রতন কুমার হালদার বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে পয়লা ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মামলা করতে যান ওই শিক্ষার্থী।
আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনা তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর একই দিন এসআই রতন কুমারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পাঠকের মতামত: