ঢাকা,মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

চকরিয়া পৌর নির্বাচন : মেয়র পদে লড়াই হবে নৌকা-ধানের শীষের

Election-ck_1স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
আগামী ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দাখিল করা মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে বুধবার। রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের হলরুমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই চলে। যাছাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র একক প্রার্থী যথাক্রম আলমগীর চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্ণিং কর্মকর্তা। তবে ব্যাংক ঋণ খেলাপীর অভিযোগে মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী জসীম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলাল। এতে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল হাকিম দুলাল অভিযোগ করেছেন, রহস্যজনক কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল করেছেন রিটার্ণিং কর্মকর্তা। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করবেন এবং প্রয়োজনে উচ্চ আদালতেও যাওয়ার কথা জানান তিনি।
টচ্চচচসূত্র জানায়, প্রথমে যাচাই-বাছাই করা হয় মেয়র পদের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র। এ সময় মেয়র পদে বিএনপি মনোনীত একক প্রার্থী ও বর্তমান পৌরমেয়র আলহাজ নুরুল ইসলাম হায়দার এবং আওয়ামীলীগ মনোনীত একক প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র মৌখিকভাবে বৈধ ঘোষণা করেন। তবে ব্যাংক ঋণ খেলাপের কারণে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী জসীম উদ্দিন ও আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলাল মিয়ার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। এদিকে পৌরসভার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে দাখিলকৃত ২০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডের ৪৯ জনের মনোনয়ন পত্র মৌখিকভাবে বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে দুই নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েকজন প্রার্থী ঋণ খেলাপী হলেও তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না করা তারাও বৈধ প্রার্থী বলে ঘোষণা দেন রিটার্ণিং কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্ণিং কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ে দুইদিন সময় দেওয়া হয়েছে। একদিনেই সব প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মেয়র পদে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র একক প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। ব্যাংক ঋণ খেলাপী থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর একক প্রার্থী জসীম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল হাকিম দুলালের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।’ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী ঋণখেলাপী হলেও এনিয়ে কেউ অভিযোগ না পাওয়ায় তাদেরকেও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
এদিকে মনোনয়ন পত্র বাতিল করা মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল হাকিম দুলাল মিয়া দৈনিক চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘প্রাইম ব্যাংক থেকে আমি ঋণ নিলেও তা পরিশোধ করে দিয়েছি অনেক আগেই। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও আমি রিটার্ণিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করেছি। এর পরেও রহস্যজনক কারণে আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। আমার মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আমি রিট করবো। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতেও যাব।’
পৌরসভা দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রফিকুল হক অভিযোগ করেছেন, এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিলকারী বিএনপি নেতা নুরুল আমিন এনসিসি ব্যাংক চকরিয়া শাখার ঋণ খেলাপী গ্রাহক হিসেবে চিহ্নিত। তার কাছ থেকে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা। যা নেওয়ার ঋণের টাকা পরিশোধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এর পরও তাকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন রিটার্ণিং কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত: