চকরিয়া পৌর এলাকায় স্কুল ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত মার্শাল (১৪) কে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। স্কুল ছাত্র মার্শালের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা গ্রামের মোঃ ইলিয়াছের পুত্র চকরিয়া গ্রামার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত গত ১৯জুন প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফিরছিলো। ওইসময় স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ও তার সহযোগিরা প্রাইভেট কার গাড়ি নিয়ে স্কুল দিয়ে যাওয়ার সময় ওই স্কুল ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। ওইসময় তার সাঙ্গপাঙ্গরা স্কুল ছাত্রকে টানা-হেচড়া করলে সে চিৎকার দিলে শিক্ষকরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় কাউন্সিলর রেজাউল চলে গেলেও তার সহযোগিরা মার্শালকে অমানবিকভাবে মারধর করে। এদিন রাত ৯টার দিকে স্কুল ছাত্রের মা পারভিন আক্তার হালকাকারা বটতলী ষ্টেশন এলাকায় রেজাউলের কাছ থেকে ছেলেকে অপহরণ ও মারধরের কারণ জানতে চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় রেজাউল। এসময় পারভীনকে বেধম মারধর করে তার সহযোগিতরা। এঘটনায় গত ২২জুন পারভিন আক্তার বাদী হয়ে কাউন্সিলর রেজাউল করিম, আবদুল ওয়াহেদ, শাহাবউদ্দিন, নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, জামালউদ্দিন, মো: রুবেল, মো: মিন্টু, মো: সাগর, কামাল উদ্দিন মেস্ত্রী সহ ১০জনকে আসামী করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সিআর ৬৪৭/১৬ ফৌজধারী অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে চকরিয়া থানার ওসিকে মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। গত ২৫জুন মামলা হিসাবে রুজু করেন পুলিশ। যার মামলা নং ৪৫/১৬।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খাঁন জানান, আদালতের নির্দেশে রেজাউল হকসহ ১০জনের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক মো: আলমগীরকে আসামীদের গ্রেফতার করতে তদন্ত পূর্বক চার্জসীট তৈরী করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: