কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে একদিনের ব্যবধানে বদলে গেছে ভোটের হিসাব নিকাশ। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর জন্য নৌকার পক্ষে জনগনের কাছে ভোট চাইলেন নাগরিক কমিটির ব্যানারে মেয়র পদে ঘোষনা দেয়া হেভিওয়েট প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী। মনোনয়নপত্র দাখিলের পরদিন মঙ্গলবার দিনভর পৌরসভার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ১, ২ ও ৩নম্বর ওয়ার্ডে দলের সকলস্থরের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সাঈদী জনগনের কাছে গনসংযোগে গেলেন দল মনোনীত মেয়র প্রার্থীর জন্য।
জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হলে আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দেন। কিন্তু সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন তিনি ফরম দাখিল না করে ওইদিনই সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্বান্তকে সম্মান দেখিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষনা দিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এরপরদিন (মঙ্গলবার) দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে নিজের অঞ্চলের ভোটারদের মাঝে গনসংযোগ শুরু করার পর এখন চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। অবশেষে পৌরসভার হেভিওয়েট নেতা সাঈদী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে গনসংযোগে নামার ফলে বেশির ভাগ এলাকায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে ব্যাপক জনমত লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার গনসংযোগকালে ওইসময় তার সাথে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিম, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.হায়দার আলী প্রমুখ। অপরদিকে দিনের ভিন্ন ভিন্ন গনসংযোগে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর পক্ষে পৌরসভার এসব ওয়ার্ডে গনসংযোগ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সহ-সভাপতি মো.ওয়ালিদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন মানিক, সেকান্দর বাদশা নাগু, জমির উদ্দিন মেম্বার, মাস্টার কবির হোসেন, আমির হোসেন মেম্বারসহ দলীয় নেতাকর্মী। এসময় মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী ও ফজলুল করিম সাঈদী সহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা বলেছেন, কোন ভেদাভেদ নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দিয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকে নির্বাচিত করতে একযোগে কাজ করবেন। নৌকার বিজয় মানে শেখ হাসিনার বিজয়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিজয়। তাই উন্নয়নের প্রতীক নৌকা মার্কা বিজয়ী করে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত পৌরসভার সার্বিক উন্নয়নে এবং যানজটমুক্ত, ফ্লাইওভারযুক্ত পৌরসভা বিনির্মাণে কাজ করবেন। ডিজিটাল ও আধুনিক পৌরসভা এবং নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় সকল ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আলম কমিশনার, যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক, কোরক বিদ্যাপীঠের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কবির, নুর হোসেন মেম্বার, নুর মোহাম্মদ বিএসসি, পৌর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন মানিক,আমান উদ্দিন আমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম সিকদার লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম রাসেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, সিনিয়র সহসভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সেকান্দর বাদশা নাগু সওদাগর, সম্পাদক জমির উদ্দিন মেম্বার, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল হক, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার কবির হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়ত সিকদার, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নুর হোসেন (কাউন্সিলর), ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুস শফি, কাউন্সিলর প্রার্থী সাহাব উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী আবুল কালাম, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলম, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের, আলীগ নেতা এসএম সায়েম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেফায়তুল কবির বাপ্পী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠু, পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু ইউসুফ জয়, উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির হিরু, পৌর মৎস্যজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মানিক সহ দলীয় অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।##
পাঠকের মতামত: