ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া থানায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে মামলার বাদী কর্তৃক রিমান্ডের আসামীকে নির্যাতনের অভিযোগ

%e0%a6%aa%e0%a6%aa%e0%a6%aa%e0%a6%aaমিজবাউল হক, কক্সবাজার:

রিমান্ডের এক আসামীকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় থানা হাজতে অমানষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে থানার হাজতখানা থেকে বের করে তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে মামলার বাদি কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নিজেই গলা টিপে নির্যাতন চালিয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা।

নুরুল ইসলাম বাপ্পীর পিতা কামাল উদ্দিন জানান, চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের অপহরণ চেষ্ঠার মামলায় গত ৭অক্টোবর তার পুত্র নরুল ইসলাস বাপ্পী (২৮) সহ দুইজনকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরদিন আসামীদের আদালতে হাজির করে জামিন চাইলে জামিন না মন্জুর তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম রায় সরকার উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আটককৃতদের তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মন্জুর করে। গত ১৯অক্টোবর সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে আসামী নুরুল ইসলাম বাপ্পী ও রাসেলকে চকরিয়া থানায় নিয়ে আসেন।

তার পিতা আরও জানান, ওইদিন রাতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গৌতম রায় হাজত থেকে বের করে তাদেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওইসময় মামলার বাদি কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে বাপ্পীকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে অমানষিকভাবে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে গলা টিপে ধরে তাকে। এভাবে একঘন্টা ধরে থানা হাজতে নির্যাতন চালিয়েছেন কাউন্সিলর নজরুল। এরপরও তদন্তকারী একবারে প্রতিবাদ করেনি।

গতকাল ২০অক্টোবর সকাল দশটার দিকে বাপ্পীকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌতম রায় সরকার বলেন, অপহরণ মামলার আসামী নুরুর ইসলাম বাপ্পীকে একদিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন আদালত। গত বুধবার রাতে আসামী বাপ্পীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে কাউন্সিলর নজরুল কোন ধরণের নির্যাতন করেনি। তবে তিনি ওইসময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।

এদিকে আসামী নুরুল ইসলাম বাপ্পীকে রিমান্ডের নামে বাদী কর্তৃক নির্যাতন করার ঘটনায় উপজেলা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিকার ও উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবি এডভোকেট লুৎফুল কবির ও এডভোকেট ওমর আলী।

এব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম জানান, থানায় রিমান্ডের নামে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি। আমি মামলার তদন্তকারী কর্মকতার কাছ থেকে জেনেছি, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মারধর করেনি। ##

পাঠকের মতামত: