নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :::
চকরিয়া পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী পথসভায় হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার ভরামুহুরীস্থ গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দার (৬৫) ও কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এনামুল হক (৬৮) সহ কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী। আহতদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলাম হায়দারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত অন্যদের তাৎক্ষনিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। হামলার এঘটনায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া দাবী করেন, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে নির্বাচনী পথসভা শুরু হলে আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা ও গুলি করে। এতে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলাম হায়দার এবং জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এনামুল হক আহতসহ অন্তত ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদেরকে শান্ত করেন খোকন মিয়া।
তবে ঘটনার ব্যাপারে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পথসভায় আমার কোন সমর্থক হামলা করেনি। মুলত বিএনপির লোকজন আমার বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে ভোটারদের সহানুভুতি আদায় করতে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সাজিয়েছে।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা.মোহাম্মদ ছাবের বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হামলার ঘটনায় আহত দুইজন চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে এনামুল হককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার বুকে ব্যথা অনুভুত হয়েছে। আহত অপরজন নুরুল ইসলাম হায়দারের মাথা, বুক ও বাম পায়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার মাথা ও বুক ফুলে গেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা অনুযায়ী আহত দুইজনের ইনজুরি বলতে ফুলা জখম ও ব্যথা জখম ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে এমন আলামত তাঁরা পাননি। তবে নুরুল ইসলাম হায়দারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও বুকে ব্যাথা বাড়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চকরিয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির পথসভা চলাকালে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী সমর্থকরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওইসময় মিছিলটি পাশ কেটে যাওয়ার সময় কর্মীদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এতে দুইজন অল্প আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার সময় গুলির কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ঘটনা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।###
পাঠকের মতামত: