শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশ ও টেকনাফ বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮০ হাজার পিস ইয়াবা আটক করেছে। এসময় একটি যাত্রীবাহি বাস, দুইজন মিয়ানমার নাগরিক সহ ৫ জনকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া ফাঁসিয়াখালীস্থ আর্মি ক্যাম্প এলাকায় যাত্রীবাহি শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৫২৫) তল্লাশি চালায়। এসময় উদ্ধার করা হয় ১ হাজার পিস ইয়াবা। চালক-হেলপারসহ তিন জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শ্যামলী পরিকহণের চালক ও পাবনা জেলার রাগবপুর এলাকার খোরশেদ খানের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩০), কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সোনাইছড়ি এলাকার ছালামত উল্লাহর ছেলে রশিদ আহমদ (২৩) এবং হেলপার আইয়ুবুল ইসলাম (৪০)।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখারী আর্মি ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায়। এসময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহণের বাসটিতে অভিযান চালালে চালকের কাছ থেকে ইয়াবার একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটটি খুললে এতে ১ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের পর গাড়িসহ ও চালক-হেলপারকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে চালক-হেলপারের স্বীকারোক্তি মতে মাদক ব্যবসায়ী রশিদ আহমদকে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, টেকনাফে ৭৯ হাজার ২শত ৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতরা হচ্ছে আকিয়াব জেলার মংডু দলিয়াপাড়া গ্রামের আবুল বশারের ছেলে মোঃ জুনায়েদ (২০), নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ জোহার (৩০)।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জুলাই ভোর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দমদমিয়া বিওপির হাবিলদার মোঃ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল সাবরাং ইউপিস্থ নাজিরপাড়া নাফ নদী দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এই সংবাদে নাফ নদীর পার্শ্ববর্তী কেওড়া বাগানে ওঁৎ পেতে থাকে।
পরবর্তীতে একটি নদীর কিনারায় আসা মাত্রই টহলদল নৌকায় আরোহিত দুইজন ব্যক্তিকে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা নৌকাটি ইউটার্ন করে মিয়ানমারের দিকে পালানোর সময় নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় দমদমিয়া বিওপির সুবেদার মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অপর একটি টহলদল স্পীডবোট নিয়ে ধাওয়া করে ইয়াবা পাচারকারী দুই মিয়ানমার নাগরিককে নদী হতে উদ্ধার পরবর্তী আটক করেন। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৭৯ হাজার ২৭৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার বাজার মূল্য দুই কোটি সাতত্রিশ লাখ একাশি হাজার নয়শত টাকা।
২ বজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পরিচালক সংবাদরে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইয়াবা পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখা এবং অবৈধভাবে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের এবং উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: