ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির রেজিষ্ট্রেশন জালিয়াতির অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলা সমবায় বিভাগের পরির্দশক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের মাধ্যমে উপজেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠিত সমিতিকে রেজিষ্ট্রেশন দেয়ার নামে তিনি বারবার সময় ক্ষেপন করে সুবিধা নেয়ার বিনিময়ে অপর একটি পক্ষকে রেজিষ্ট্রেশন পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন চকরিয়া উপজেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় দুইপক্ষে বিষয়টি নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সমিতির ক্ষুদ্ধ কর্মকর্তারা অবিলম্বে জালিয়াতির মাধ্যমে দেয়া ওই রেজিস্ট্রেশন বাতিল পুর্বক সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত এ্যাম্বুলেন্স মালিক সনাক্তের মাধ্যমে উপজেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির নামে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে চকরিয়া উপজেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জানান, ২০১২ সালে ১৭টি গাড়ি নিয়ে তাঁরা সংগঠনটি চালু করেন। ওইসময় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আবুল কাসেম পুতু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রফিকুল ইসলাম কোম্পানী। তিনবছর মেয়াদ শেষে নতুন কমিটিতে দায়িত্ব নেন সভাপতি আবুল কাসেম পুতু, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন, অর্থ সম্পাদক আজিম চেয়ারম্যান, লাইন সম্পাদক রাজা মিয়া, সদস্য জয়নাল আবেদিন, মালিকপক্ষের লাইন পরিচালনাকারী শ্রমিক প্রতিনিধি মো.সাহাব উদ্দিন, নুরুল হাকিমসহ সাতজনের কমিটি।
এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সাতজনের কমিটি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। কিছুদিন আগে তাঁরা উপজেলা সমবায় বিভাগের পরিদর্শক আবু তাহেরকে জানান সমিতির নামে রেজিষ্ট্রেশনটি নিবন্ধন করে দিতে। তাদের সাথে কথাও চুড়ান্ত করেন পরিদর্শক। কিন্তু বারবার সময় ক্ষেপন করে সম্প্রতি সময়ে অভিযুক্ত পরিদর্শক আবু তাহের মোটা অঙ্কের লেনদেনের বিনিময়ে ফরিদুল ইসলাম রাসেল ও ইউনুছ মেম্বার নামের দুইজনকে সভাপতি-সম্পাদক করে সংগঠনের রেজিস্টিশনটি পাইয়ে দিয়েছেন।
এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, তাদের ১৭টি গাড়ি ও বৈধ সংগঠন রয়েছে। কিন্তু যারা সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন হাতিয়ে নিয়েছে তাঁরা অবৈধ। তাদের কোন ধরণের গাড়ি নেই। এমনকি তাঁরা চকরিয়া উপজেলা এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির কোন পদে ছিলনা।

পাঠকের মতামত: