ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

‘চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়ায় মিষ্টি বিতরণ’

বার্তা পরিবেশক:
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। জাফর আলমের অব্যাহতি দেয়ার খবরটি বুধবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হওয়ার পর চকরিয়া-পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছে ত্যাগি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এসময় তারা দীর্ঘদিন পর হলেও এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনসহ সকল সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিষ্টি বিতরণের কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সরওয়ার আলম বলেন-সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাফর আলমের সকল অপকর্মের জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই তৃতীয়াংশের অধিক সদস্যের নেয়া অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং তাকে (জাফর আলমকে) দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া-মাতামুহুরি উপজেলার তৃণমুলের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামীলীগ পাগল সাধারণ মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন-সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাফর আলম দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করার কারণেই ছয়টি ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। উল্লেখ্য-দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কুটক্তি ও সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ থেকে জাফর আলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অব্যাহতির বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন-দলীয় শৃংখলা বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, দলীয় নেতাদের আনুগত্য স্বীকারে বাধ্য করতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, চিহ্নিত ডাকাতের সহযোগিতায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের চিংড়ি ঘের দখল, সংগঠনের শৃংখলা ও ভাবমূর্তি নষ্টসহ একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সংগঠনের সভপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। গত ১৬ মে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী সভায় ঔই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভেন্ডিবাজারস্থ আপন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই তৃতীয়াংশের অধিক সদস্যের মতামতের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলেও তিনি জানান। তাছাড়া সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত বাস্তবায়নসহ জাফর আলমের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বরাবরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: