চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে প্রভাবশালী চক্রের নেপথ্যৈ ওপেন সিক্রেট ভাবে জমে উঠেছে মদ জুয়ার ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের অগোচরে বা ক্ষেত্রে বিশেষে তাদেরকে ম্যানেজ করে চলছে এ ব্যবসা। এমন অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের। এ অবস্থার কারনে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, পরিষদের ৪নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আলম বাহাদুরের ছেলে শাহাব উদ্দিন বাহাদুর বদরখালী বাজারের দক্ষিণ পাশে মৌলভী আব্দুস সাত্তারের বাসা ভাড়া নিয়ে প্রকাশ্যে মাদকের আখড়া খুলেছে। শাহাব উদ্দিন বাহাদুর ব্যবসা নিবিঘœ করতে একসাথে ৫-৬টি কক্ষ ভাড়া নিয়েছে।
ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার রোকন উদ্দিন বাহাদুর খোকাকে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানালে এব্যাপারে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনিক বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিনকে জানালে তিনিও কোন মতে গা বাচিয়ে এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মহল।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাজারের পাশে পুলিশ বিট থাকতে মাদকের আখড়া নিধন করতে সেখানে মেম্বার চেয়ারম্যনের প্রয়োজন কি। অভিযোগকারীদের ধারণা বাজারের পাশে প্রকাশে এ ধরণের মাদক ব্যবসায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্টরা রয়েছে। প্রশাসন তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মাদকসেবী ও জুয়াড়ীদের মনোরঞ্জনের জন্য মাদক বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন বাহাদুর তার আস্তানার পাশাপাশি বাজার পাড়া লাগোয়া খালকাঁছা পাড়ায় মদ তৈরি ও এলাকার বাহিরে সরবরাহ করার কারখানা খোলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, বদরখালী বাজারের এ মাদকের আস্তানায় মদ তৈরি, পাচার কাজে ৭-৮ জন নারী পুরুষ জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে নুর কাদের, আলম শাইর, রহমত আলী, কাউছার জাহান, জয়নাল আবেদীন, আয়শা খাতুন ও শহরবানু অন্যতম।
ভুক্তভোগী জনাধারণ ও স্থানীয় সচেতন মহল এলাকার শান্তি প্রতিষ্টা নিশ্চিত করতে এবং বাজারের আশপাশ এলাকায় অবস্থিত স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় যাতায়তের পথে এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য উর্ধতন পুলিশ প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাঠকের মতামত: