ঢাকা,বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ৬ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চাইলেন ৩৭জন চেয়ারম্যান প্রার্থী

imagesনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় একক প্রার্থী নির্ধারণের লক্ষ্যে উত্তারাংশের ৬টি ইউনিয়নের এক যৌথ সভা ৪মার্চ বিকাল ৩টায় চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নুরুল আবছার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি যথাক্রমে সরওয়ার আলম, ফজলুল করিম সাঈদী, এম আর চৌধুরী, মো: মুছা সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও ৬টি ইউনিয়নের দলীয় সকল কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পালনে নৌকা প্রতীকে দলীয় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সকল প্রকার ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

পরে অনুষ্ঠানের ২য় অধিবেশনে ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থীদের সমঝোতা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা। তবে ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে তৃণমুলের মতামত দেখতে কাউন্সিল (ভোট) করার সিদ্ধান্ত থাকলেও সময় স্বল্পতা ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা হয়নি। এসময় উপজেলা নেতৃবৃন্দরা ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রার্থীদের তালিকা সংগ্রহ করলে ৬টি ইউনিয়নে মোট ৩৭জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রতীক নৌকা চান। এসব প্রার্থীদের যাছাই বাছাই করে এবং তৃণমূলে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন পর্যালোচনা করে উপজেলা আওয়ামীলীগ পূণরায় একক প্রার্থী করার চেষ্টা চালানোর পর খুব শীঘ্রই জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ডে তালিকা পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন।

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন ভিত্তিক যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা হলেন; সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাইলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আজিমুল হক আজিম, চকরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম শাহরিয়ার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদ হোছাইন, বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কাজল, ব্যবসায়ী অলিদুল আজিম, আ’লীগ নেতা নুরুল আমিন মোট ৭জন।

হারবাং ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাইলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও আলীগ নেতা নুরুল আবছার, ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ, আজিম উদ্দিন, হাফেজ নুর সালাম, নাসির উদ্দিন খোকন, মাস্টার জিয়া উদ্দি;ন, মুজিবুর রহমান বাদশা, দারুস সালাম রফিক মোট ৯জন।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালীর পুত্র রেজাউল করিম সেলিম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইকুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট, ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির হোসেন মোট ৪জন।

কাকারা ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাইলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত ওসমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মোট ৪জন।

বরইতলী ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন চাইলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার বেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক ডা: নুরুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মোট ৬জন।

কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন চাইলের ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম সিকদার, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান হানু, তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা মক্কী ইকবাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারী নেত্রী জন্নাতুল বকেয়া রেখা মোট ৬জন।

পাঠকের মতামত: