এবার বখাটের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন চকরিয়ার ফাঁশিয়াখালী রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া। স্কুল ছাত্রী পাপিয়ার হামলার ঘটনায় ফুসে উঠেছে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সর্বস্থরের জনগণ। গতকাল হামলাকারী ইসলামকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁশিয়াখালীতে বিশাল মানববন্ধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
পাপিয়ার মা আমেনা বেগম জানান, তার মেয়ে রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। গত একবছর ধরে প্রতিবেশি বখাটে মোহাম্মদ ইসলাম তার সহযোগি এরফান বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার সময় রাস্তায় প্রায় সময় উত্তপ্ত করতো। গত ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে বিদ্যালয়ের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে তারা কু-প্রস্তাব দেয় পাপিয়াকে। এসময় পাপিয়া একই শ্রেণির তার ছোটভাই হৃদয় প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ওইসময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পাপিয়ার মা আমেনা বেগম বাদি হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বখাটে ইসলাম তার সহযোগি এরফানসহ ৫জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বখাটের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় আসামীরা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় স্কুল যাওয়ার পথে পূনরায় তার মেয়ে পাপিয়া ছেলে হৃদয়কে ধারালো দা, কিরিচ ও চুরি দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে।
বর্তমানে তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামিরা মামলা তুলে নিতে তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বাদিকে। সন্তানদের মতো তাকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন বাদি আমেনা বেগম।
এদিকে রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছত্রী পরিষদ, স্কুলের সকল শিক্ষকবৃন্ধ, বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা বখাটেদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন রশিদ আহমদ চৌধুরীর শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় এলাকাবাসি। তারা বখাটেদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করতে ফাঁশিয়াখালীতে শতশত ছাত্রছাত্রী ও স্থানীয় এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন রাসেল, সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান খোকন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সবুজ চৌধুরী ও ছাত্রলীগ সভাপতি বোরহান, আজম, মানিক। ##
পাঠকের মতামত: