চকরিয়ায় কোনাখালী ইউপির চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারকে এবার বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা তরুনলীগ। তরুনলীগ নেতৃবৃন্দদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের মতদ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি ওই দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। এনিয়ে মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা তরুনলীগ ও কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান একপক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করেছে। চলছে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবৃতি ও পাল্টা বিবৃতি। এরই মধ্যে আওয়ামী তরুনলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার যুগ্ন আহবায়ক ইমরুল হাসান মুফিজসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে লাঞ্চিত করতে চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার তার নিজস্ব বাহিনী কোনাখালীতে ওরা ১১জন নামে খ্যাত ক্যাডারদের লেলিয়ে দেন। এনিয়ে গত ১০দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। গতকাল বুধবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দিদারুল হক সিকদার তরুনলীগ আহবায়ক ইস্তেহার উদ্দিন আশিক ও যুগ্ন আহবায়ক ইমরুল হাসান মুফিজকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চেয়ারম্যান বিবৃতির জবাবে চরম মিথ্যাচারে লিপ্ত হন। এদিকে ওই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তরুনলীগ মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানার নেতৃবৃন্দরা চরম ক্ষুব্ধ হন। তারা এটিকে চেয়ারম্যানের নির্লজ্জ কান্ড জ্ঞ্যানহীন বিবৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ওই বিবৃতির পর তরুনলীগ মাতামুহুরী থানার নেতৃবৃন্দরা গতকাল বুধবার এক জরুরী বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বিকেলে কোনাখালী পুর্ব জঙ্গলকাটা নাকখান্দুরী ষ্টেশনে ওই বৈঠকে সাংগঠনিক থানার অর্ধ শতাধিক গুরুত্বপুর্ন নেতৃবৃন্দরা মিলিত হয়েছেন। কোনাখালী ইউনিয়ন তরুনলীগের সভাপতি আব্দু রহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো.মিনারের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক থানার আহবায়ক ইস্তেহার উদ্দিন আশিক, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শাহেদ হোসেন হাবিব, যুগ্ন আহবায়ক আবু তালেব, ইমরুল হাসান মুাফজ, মো.সুমন, আবু তাহের মানিক, জহিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরুনলীগ নেতা ফারুক, কফিল উদ্দিন, মিজান, হান্নান, এনামুলহক, সাব্বিরসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় বক্তরা বলেন চেয়ারম্যান দিদার তরুনলীগ নেতৃবৃন্দের নামে চরম মিথ্যাচার করছেন। কোনাখালীতে এ পর্যন্ত যেসব রাজনৈতিক সভা, সমাবেশ হয়েছে এসব তরুনলীগ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। গত ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করেছে তরুনলীগ। এখানে আ’লীগসহ সহযোগি সংগঠন করতে পারেনি। পেরেছে তরুনলীগ। ১৫আগষ্ট জাতীয় শোক, ২৮সেপ্টম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্ম দিবস, ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবসসহ জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মসুচিগুলো তরুনলীগ এখানে সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। আমাদের দলীয় কর্মসুচিতে জেলা ও উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। দিদার চেয়ারম্যান কয়েকটি প্রোগামে অতিথি ছিলেন। চেয়ারম্যান নিজেই আমাদের এ কর্মসুচির ভুঁয়সি প্রশংসা করেছেন। তিনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি। কিন্তু কোনাখালীতে মাদার সংগঠন কোন ধরনের কর্মসুচি সফল করতে পারেনি। শালিসি বৈঠকের চেয়ারম্যানের অযুক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের এক নেতা প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষেপে যান চেয়ারম্যান। তাকে অস্ত্র দিয়ে রশি বেধে পুলিশে দেয়ার হুমকি দেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে যে অপবাদ রটিয়েছেন তা অত্যন্ত ঘৃনিত। আমরা এ বৈঠক থেকে ষ্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছি কোনাখালী ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা তরুনলীগ চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারকে আমাদের সব রাজনৈতিক কর্মসুচি থেকে একযোগে বয়কট করা হবে। চেয়ারম্যান তরুনলীগ নেতাকর্মীদের সম্পর্কে যে নীতি বাচক মন্তব্য করেছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যতায় তরুনলীগ তাকে সরাসরি বয়কটসহ প্রতিহত করতে বাধ্য হবে। আমরা মুজিবাদর্শের রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক। কোন পেশি শক্তি ও স্বৈরাতন্ত্র মনোভাব সম্পন্ন ব্যক্তিকে ভয় পায়না। আমাদের কোন নেতাকর্মী অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত নেই। তরুনলীগ সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে।
চকরিয়ায় সেই চেয়ারম্যানকে বয়কট করবে তরুনলীগ, বৈঠকে সিদ্ধান্ত

পাঠকের মতামত: