ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সাহারবিল মাদরাসা কেন্দ্রে ফাজিল পরীক্ষায় অন্যেজনের প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ!

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

এবারের ফাজিল পরীক্ষায় মুনির সাদেক নামের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে বদলি প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ওই ছাত্র চকরিয়ার সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্ভিগ্নে পরীক্ষা দিয়ে যা”েছন।

জানা যায়, মুসফিকুর রহমান লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল পরীক্ষার্থী। চলতি ফাজিল পরীক্ষায় মুসফিক অনুপ¯ি’ত রয়েছেন। তার অনুপ¯ি’তির কারণে একই মাদ্রাসার ছাত্র মুনির সাদেক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মুসফিকুর রহমানের নামে সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নি”েছন। ওই কেন্দ্রের দুই তলার ৩নং রোমে তার অব¯’ান। ইতোমধ্যে শেষ হওয়া সব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন সে। আরও দুটি পরীক্ষা বাকী রয়েছে। মাদ্রাসার হল সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রতারক ছাত্র মুনির সাদেক জালিয়াতি করে নির্ভিগ্নে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে যা”েছন।

লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা সংলগ্ন একব্যক্তি বলেন, ওই মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পরীক্ষায় অংশ নি”েছন ৯জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে দুই জন মহিলা ৭জন পুরুষ। মুসফিকুর রহমান সহ আরও একজন মহিলা পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপ¯ি’ত রয়েছে। মুসফিক ফাজিল পরীক্ষায় অংশ নি”েছ না। তার ¯’লে পরীক্ষা দি”েছন মুনির নামের অপর ছাত্র।

সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মাওলানা রুহুল কুদ্দুছ আনোয়ারী বলেন, আমার জানা মতে এই কেন্দ্র থেকে কোন পরীক্ষার্থীর বদলে অন্য কেউ প্রক্সি পরীক্ষা দি”েছ না। ইতোপূর্বে এইরকম অভিযোগ উঠলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তল্লাসি চালানো হয়। সেখানে কোন প্রক্সি পরীক্ষার্থী পাওয়া যায়নি।

এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতারণা করে কোন পরীক্ষার্থী অংশ নিলে আইনানুগ ব্যব¯’া নেওয়া হবে বলে জানান চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসলাম খান। ##

পাঠকের মতামত: