ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

পিবিআই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ 

চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর, থানার দুই ওসিসহ  ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কক্সবাজার ১ (চকরিয়া পেকুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্ঠার অভিযোগে আদালতে আরও দৃটি মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া।
ওই মামলায় সাবেক এমপি জাফর আলম ছাড়াও  চকরিয়া থানার সাবেক ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া, সাবেক ওসি তদন্ত নেয়ামত উল্লাহ, থানার সাবেক এসআই রুহুল আমিন, সাবেক এসআই সিদ্দিকুর রহমান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর ভাই জসিম উদ্দিন,  চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুল হক মুজিব ও পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দা কাজী আশরাফ উদ্দিন লিটনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল তিনি চকরিয়া উপজেলা সদরের চিরিঙ্গা কাঁচাবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ওইসময় অভিযুক্ত আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে তিনি দীর্ঘ সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
তিনি এজাহারে দাবি করেন, আসামিরা স্থানীয়ভাবে দাপটশালী হওয়ায় ভয়ে এতদিন আইনের আশ্রয় নিতে সাহস করেনি। তবে ইতোমধ্যে সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় অবশেষে তিনি এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বাদির আইনজীবী এডভোকেট গোলাম সরওয়ার বলেন, ভিকটিম মোহাম্মদ জাকারিয়ার এজাহারটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক শুনানি শেষে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক
প্রবাল চক্রবর্তী এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে একইদিন একই আদালতে হত্যাচেষ্ঠার অভিযোগে সাবেক এমপি জাফর আলম সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা রুজু করেছেন চকরিয়া উপজেলার  চিরিংগা ইউসায়নের সওদাগর ঘোনা এলাকার আল কুমাছ নামের এক ব্যক্তি। আদালত এজাহারটি আমলে নিয়ে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দিতে কক্সবাজারের পিবিআই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী চকরিয়া উপজেলা এডভোকেট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।

পাঠকের মতামত: