চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের দাখিল মাদরাসার পশ্চিম পাশের্^র সরকারি চলাচলের রাস্তা দখল করে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক দোকান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় এলাকার সর্বসাধরণের চলাচলে বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিন বাদি হয়ে গত ৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগটিতে বাদি আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন মেম্বার জানান, তিনি বরইতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ছিলেন। ১৯বছর ধরে তিনি জনপ্রতিনিধির দায়িত্বে থাকাকালে ওয়ার্ডের অধীন দাখিল মাদরাসার পশ্চিম পাশের্^র সরকারি চলাচলের রাস্তাটি এলজিইডির মাধ্যমে অনেকবার মেরামত ও সংস্কার করেছেন। সেই থেকে এলাকার জনসাধারণ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। পাশাপাশি এলাকার জনসাধারণ বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন অনুষ্টানের ছোট ছোট গাড়ি গুলো এ রাস্তা দিয়ে আনা নেয়া করে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে বাদি নুরুল আমিন মেম্বার আরো জানান, কিছুদিন আগে ওয়ার্ডের উপরপাড়ার বাসিন্দা হামিদ উল্লাহর ছেলে নুরুল ইসলাম ও আবদুল কাদেরের ছেলে মর্তুজা বেগম তাদের বসতভিটার পাশে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু তাঁরা বসতভিটা থেকে অনেক বাইরে এসে জনগনের চলাচলের রাস্তা দখলে নিয়ে দোকানের অংশটি নির্মাণ করেছে। এ অবস্থার কারনে জনগনের চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় তিনি বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুইজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
বাদি নুরুল আমিন মেম্বার অভিযোগ করেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী সেলিম আহমদ কয়েকদিন আগে ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে অভিযুক্তদের পক্ষ হয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার বিএনপি নেতা রেজাউল করিম উল্টো আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করায় তিনি প্রকাশ্যে তদন্ত কর্মকর্তার সামনে আমাকে গালিগালাজ করে। ওইসময় মেম্বার রেজাউল ক্ষোভের সাথে দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলে দেখি প্রশাসন কিভাবে দোকান ভেঙ্গে দিতে পারে।
জানতে চাইলে চকরিয়া এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী সেলিম আহমদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় জনসাধারণ, বাদি ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে রাস্তার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়েছি। তবে নির্মিত দোকানের সামনের অংশ রাস্তার উপর পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানানো হবে। #
পাঠকের মতামত: