এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায় ঘোষনাকে ঘিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সকল ধরণের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগেরদিন থেকে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বাড়ানো টহল তৎপরতা।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির যে কোন ধরণের আন্দোলন কর্মসুচি মোকাবেলা করতে আগে থেকে প্রস্ততি নেন চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং আজিজনগর থেকে দক্ষিনে খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি নতুন অফিস এলাকার রাজপথে ছিলেন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিনভর মহাসড়কের বিভিন্ন স্টেশনে সমাবেশ ও মিছিল করে সময় পার করেছে নেতাকর্মীরা। তবে ওইসময় রাজপথের কোন পয়েন্টে দেখা মেলেনি বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের কোন নেতাকর্মীকে। কার্যত প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে রায় ঘোষনার কয়েকদিন আগে থেকে এলাকা ছেঁেড় গা ঢাকা দেন বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিন সকালে উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে চিরিঙ্গা সড়ক ডাকবাংলো পর্যন্ত এলাকায় কয়েকদফা আনন্দ মিছিল করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পৌরশহরের কাজী মার্কেট চত্বরে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ মিথুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, বাবু এমআর চৌধুরী, আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন জয়নাল, যুগ্ম সম্পাদক ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শহীদুল্লাহ চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, সাংবাদিক মিজবাউল হক, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো.ওয়ালিদ মিল্টন, অধ্যাপক মোসলেহ উদ্দিন মানিক, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ভিপি রোস্তম শাহরিয়ার, পরিমল বড়–য়া, সেলিম উল্লাহ বাহাদুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলী, পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদ, সেলিম উদ্দিন লিটন, কাউন্সিলর রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, নজরুল ইসলাম রাসেল, ফরিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সহ-সভাপতি কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাউছার উদ্দিন কছির, সিনিয়র সদস্য হেলালী উদ্দিন হেলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত সিকদার, অহিদুল ইসলাম অহিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ও জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, চকরিয়া পৌরসভা কৃষকলীগের সভাপতি সুলাল কান্তি সুশীল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারুক লোটাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলী, সাবেক সভাপতি শেফায়েতুল কবির বাপ্পী, সাবেক সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম রাহিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিঠু, উপজেলা যুবলীগের জয়নাল হাজারী, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রানা পারভেজ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পৌরসভা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আরিফ মাঈনুদ্দিন রাসেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমাম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, আইন সম্পাদক এসএম সুলতান আহমদ, ধর্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.আসাদুল হক, কৃষি সম্পাদক শাহ আলম, উপ-প্রচার সম্পাদক আবুল হাশেম, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, কবির আহমদ, আবু তাহের মেম্বার, সাহাব উদ্দিন টিংকু, কবিরাজ ফজল করিম চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন, রুহুল আমিন, আক্কাছ আহমদ সওদাগর, জয়নাল আবেদিন জনু, ফরিদ উদ্দিন বিএ, রশিদ আহমদ, বশির আলম, উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি জালাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি নেজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ডা.সুমন কান্তি দাশ, চকরিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আবু ইউছুপ জয়, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোহেল রানা।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার কবির আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন মেম্বার, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি নাজেম উদ্দিন ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার বাদশা, ৩নং ওয়ার্ড সম্পাদক সফুর আলম, ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি ডা.রতন কুমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসহাক, ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি সেকান্দর বাদশা নাগু সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন মেম্বার, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেন আমু, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির কমিশনার ও সাধারণ সম্পাদক ওমর হামজা সহ উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে একইদিন বিকালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, হারবাং, বরইতলী ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম। বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাবু এমআর চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা.মীর আহমদ হেলালী, দপ্তর সম্পাদক মাস্টার আবদুল জলিল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ভিপি রোস্তম শাহরিয়ার, খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমদ, সহ-সভাপতি বাহাদুর হক, আলহাজ জয়নাল আবেদিন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আজাদ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি জামাল হোছাইন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল এহেছান চৌধুরী সাইফুল, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনছুর আলম, আমির উদ্দিন বুলবুল, সাইফুল ইসলাম মেম্বার, যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ এহেছান, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, বরইতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাস্টার বেলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ডা.নুরুল আলম, হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খ.ম বুলেট সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম বলেছেন, দুর্নীতি মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান এতিমের টাকা হরিলুট করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মা-ছেলে মিলে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনগনের সম্পদ লুট করেছে। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকার পক্ষ মামলার রায়ে সত্য ঘটনাটি প্রমাণ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগন একটু দেরীতে হলেও এখন বুঝতে পেরেছে আসলে সতিকার অর্থৈ দেশের জন্য, জনগনের জন্য কী শেখ হাসিনা কাজ করেন, নাকি খালেদা জিয়া করেন। এই রায়ের মাধ্যমে জনগনের কাছে পরিস্কার হয়েছে খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় গড়তে কাজ করেন। অন্যদিকে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম সমাবেশে উপস্থিত জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বারেবারে দরকার শেখ হাসিনা সরকার। তাই জনগনের ভাগ্য উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে। #
পাঠকের মতামত: